বিআইটিআইডি হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার পর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১২ জন রোগীকে শনাক্ত
- আপডেট সময় : ১১:৩৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫১৯ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার পর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১২ জন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯ জনে। নতুন আক্রান্তদের ১১ জনের বাড়ি চট্টগ্রমে, এক জনের বাড়ি নোয়াখালীতে। মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ফজলে রাব্বি। এর আগে চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরো দুই রোগীকে শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হলো চট্টগ্রামে। এদিকে, চাঁদপুর, দিনাজপুর ও গাজীপুরে করোনা উপসর্গে চিকিৎসাধীন তিনজন মারা গেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. ফজলে রাব্বি জানান, চট্টগ্রামে নতুন আক্রান্তদের একজনের বাড়ি নগরীর পাহাড়তলী, অন্যজনের বাড়ি আকবরশাহ এলাকায়। রাতেই আক্রান্ত দু’জনের বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তারা রোববার করোনা উপসর্গ নিয়ে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে আসলে, আইসোলেশনে রেখে নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে পাওয়া রিপোর্টে তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস পজিটিভ আসে। কিন্তু এর আগেই সকালে একজনের মৃত্যু হয়। আর আগের ২৪ ঘন্টায় মোট ১২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দু’জনের শরীরে মরণব্যাধি ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
করোনার উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক যুবক মারা গেছে। সকালে সে মারা যায়। রাতে প্রচণ্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে আসে ওই যুবক। পেশায় কাঠমিস্ত্রি ওই যুবক গত মাসের শেষদিকে ঢাকা থেকে সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে আসে। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এদিকে চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত ৬ জনের মধ্যে ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৫ জন। আর ঢাকা ও নারায়গঞ্জ ফেরত ১ হাজার ৭৯ জন আছে হোম কোয়ারাইন্টনে।
দিনাজপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া আজিজার রহমানের মৃত্যু হয়েছে। সকালে বিরামপুর উপজেলার শৈলান গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, সোমবার করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা আজিজার রহমানকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলে পরে সে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
গাজীপুরের টঙ্গী পাগাড় এলাকায় জ্বরে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সকালে বাড়ীতে ওই শিশুর পরিবার টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মেডিকেলে আনার পথে তার মৃত্যু হয়। সিভিল সার্জন ডাক্তার মো: খায়রুজ্জামান জানান, নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা আইইডিসিআরে পাঠানা হয়েছে।