বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে চলছে অবৈধ উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম
- আপডেট সময় : ০২:৪৭:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
মালেশিয়া ও পানামার দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অবৈধভাবে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ওয়েস্ট কোস্ট ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাণ্ড টেকনোলজি- ডব্লিউসিআইএমটি নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোম্পানী আইনে পরিচালিত হয় প্রতিষ্ঠানটি, এমনই দাবি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আকবর হোসাইনের। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি থেকে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার কোন অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন ডিগ্রির সনদ বিক্রি করছে ডব্লিউসিআইএমটি। ইউজিসির চেয়ারম্যান বলছেন, এটি নিয়ম বহির্ভূত এবং অবৈধ। শিগগিরি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোন উপায় নেই, দেশে বসে চলছে অবৈধ বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রমরমা ব্যবসা। বলছি, রাজধানীর রামপুরা পূর্ব হাজীপাড়া এলাকায় আজিজ ভবনে প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাণ্ড টেকনোলজি- ডব্লিউসিআইএমটির কথা।বিভিন্ন সূত্রে এসএটিভি কাছে তথ্য আসে, দেশে বসেই বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে উচ্চতর বিভিন্ন ডিগ্রির সনদ দিচ্ছে ডব্লিউসিআইএমটি। সেই তথ্যের সূত্র ধরে প্রতিষ্ঠানটির নানা অবৈধ কর্মকান্ড নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে এসএটিভি।
বেরিয়ে আসে নানা অজানা কাহিনি। একিই ছাদের নিচে ওয়েস্ট কোস্ট ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাণ্ড টেকনোলজি এবং আমদাহ্ ইনস্টিটিউট অব ইন্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি নামের প্রতিষ্ঠানের আড়ালে চলছে ওপেন ইউনিভার্সিটি মালেশিয়া ও ওয়েস্ট কোস্ট ইউনিভার্সিটি পানামা নামের দুইটি স্বনাম ধন্য বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আড়াই লাখেরও বেশি টাকার বিনিময়ে বিবিএ, এমবিএ ও বিএসসিসহ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিভিন্ন ডিগ্রির সনদ দেয়ার নামে চলছে রমরমা ব্যবসা।ওয়েস্ট কোস্ট ইউনিভার্সিটি-পানামার কার্যক্রম বন্ধে ২০০৭ সালে ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। বরং গণমাধ্যমে চটোকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে আরও বেশি প্রলুব্ধ করা হচ্ছে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারকে। অবাধে এবং প্রকাশ্যে চলছে শিক্ষা ডিগ্রির সনদ বিক্রির বাণিজ্য।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া কিভাবে এই ব্যবসা চলছে ? এর জবাবে তারা জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোম্পানী আইনের অনুমোদনে চলছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে এই বিষয়ে কোন তথ্য প্রমাণ দেখাতে অস্বীকার করেন তারা।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, সম্পূর্ণ নিয়ম বহিভূর্তও অবৈধ পন্থায় এই শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।শিগগিরি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশের আনাচে কানাচে এভাবেই নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান শিক্ষাকে বড় ধরনের ব্যবসায় পরিণত করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সরকারের সংশ্লিস্ট দপ্তরগুলোর উদাসিনতার কারণে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনার সম্মুখিন হতে হচ্ছে দেশের শিক্ষা সমাজকে।