বিধিনিষেধের চেয়ে চট্রগ্রামে টিকা কার্যক্রম গতিশীল করার আহবান চিকিৎসকদের
- আপডেট সময় : ০৮:০৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
ঈদের কারণে কয়েকদিন শিথিল থাকলেও টানা এক মাস ধরেই বিধিনিষেধের নামে নানান নিয়ম বাস্তবায়ন করছে প্রশাসন। কিন্তু এসবের কোন সুফলই পাননি বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বাসীন্দারা। কারণ দেড় বছরের মধ্যে গতকালই করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু আর আক্রান্তের হার শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে বিধিনিষেধের চেয়ে টিকা কার্যক্রম গতিশীল করে জনগণের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যতামুলক করতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে।
করোনার সংক্রোমণ ঠেকাতে রাস্তায় লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণে মাসজুড়েই সক্রিয় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিধিনিষেধ না মেনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের অনেকেই সম্মুখিন হচ্ছেন জেল, জরিমানা ও হয়রানীর। কিন্তু এতকিছু সয়েও করোনার বিস্তার কতটুকু ঠেকানো গেল, সেই হিসেব কষছেন অনেকেই।
স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যন বলছে, চলতি মাসের শুরুতে যেখানে করোনায় মুত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ জন করে ছিল ২৫ দিন পর এসে সেই সংখ্যা তিন গুণ ছাড়িয়েছে। বিধিনিষেধের আগে আক্রান্তের পরিমাণ নমুনা পরীক্ষার ২৫ শতাংশের নিচে থাকলেও এখন ৪০ শতাংশ ছুই ছুই। স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতার সবটুকুই ব্যবহার করছে তারা।
চিকিৎসকরা বলছেন, গেল দেড় বছর ধরে দফায় দফায় বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। ফুটেজ-১ কিন্তু দৃশ্যমান সুফল আসেনি একবারও। তাই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর হবার পরিবর্তে টিকা কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
আর জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কর্মীরা বলছেন, মহামারী নিয়ন্ত্রনে যে পরিমাণ গবেষণা হওয়া উচিত বাংলাদেশে তা হয়নি। তাই করোনা বিস্তারের সুনির্দিষ্ট কারণও জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।
চট্টগ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গেল বছরের ৩ এপ্রিল আর মৃত্যু হয় ১১ এপ্রিল।১৫ মাসের ব্যবধানে মৃতের সংখ্য এখন হাজার ছুই ছুই। আর আক্রান্তের পরিমাণ ৮০ হাজারের কাছাকাছি।