বিভিন্ন অজুহাতে রাজশাহীতে ইউএনও’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি অভিযোগ তানোরবাসীর
- আপডেট সময় : ০৫:০১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
- / ১৬২২ বার পড়া হয়েছে
টাকা ছাড়া কিছুই চেনেন না তানোরের ইউএনও। মহান বিজয় দিবস থেকে রমজানে ইফতার মাহফিল-এমন নানা অনুষ্ঠানের অজুহাতে বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছ থেকে তুলছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। কেউ প্রতিবাদ করলে হেনস্তার শিকার হতে হয়। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে।
কৃষিতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৫ সালে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক ও ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষিপদক পেয়েছেন তানোরের দরিদ্র কৃষক নূর মোহাম্মদ। গোল্লাপাড়া বাজারে মুদিখানার দোকানও ছিল তাঁর। কিন্তু সরকারী সিদ্ধান্তে উচ্ছেদের পর নতুন করে দোকান ঘরের পজিশন বরাদ্দ নিতে আবেদন করেন। এরপর ঘুরেছেন ইউএনও থেকে বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তর পর্যন্ত। কিন্তু কাজ হয়নি। ইউএনওকে ঘুষ না দেয়ায় পজিশন বরাদ্দ পাননি বলে অভিযোগ নূর মোহাম্মদের।
গোল্লাপাড়া বাজারে পুরনো ব্যবসায়ীদের পজিশন বরাদ্দে অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। এজন্য ডিসিআরের জন্য সরকারি ফি হিসেবে এক হাজার ১১৫ টাকা লাগার কথা। কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইউএনওর নামে জনে জনে ঘুষের টাকা তুলেছেন সার্ভেয়ার পুলক কুমার
আর ব্যবসায়ী না হলেও দোকানের পজিশন বরাদ্দ পেয়েছেন ইউএনওর ব্যক্তিগত নাপিত ও মালি-এমন অভিযোগ সরকার দলীয় ব্যবসায়ী নেতার।
তবে সব অভিযোগই অস্বীকার করে ইউএনও বলছেন, দোকানের পজিশন বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তার কিছুই করার ছিল না।
গত বছর ১৮ মার্চ তানোরের ইউএনও পদে যোগদান করেন পঙ্কজ দেবনাথ। আর ডিসেম্বরেই মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একই ধরনের প্যান্ট ও কোট বানানেই চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে।