ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
- আপডেট সময় : ০২:৫২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
- / ১৬২৮ বার পড়া হয়েছে
বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তৃতীয় দফা বন্যায় তলিয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে পড়েছেন হাজারও মানুষ। সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বেড়ে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫৯, হাতিয়া পয়েন্টে ৬৫ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি জেলার প্রায় ২০ হাজার পরিবার।
সিলেটে তৃতীয় দফার বন্যায় গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে আবারও ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পানি। গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, কানাইঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় বাড়িঘর প্লাবিত হয়ে বন্যাকবলিতরা যেমন বিপাকে, তেমনি দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে গবাদি পশু।
এদিকে..টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় দফায় প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। জেলা সদরের সাথে তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, মধ্যনগর, দোয়ারাবাজার ও শাল্লা উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছেন অনেকেই। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে বিপাকে পানিবন্দিরা।
জামালপুরে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে–দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর ,সরিষাবাড়ি ও মাদারগঞ্জ উপজেলার নিন্মাঞ্চল। দেওয়ানগঞ্জে খোলাবাড়ি সড়ক ও মহারাণী সেতুর প্রধান সড়ক ভেঙে বিছিন্ন রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
পাহাড়ি ঢলে অব্যাহত সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি। ২৪ ঘণ্টায় ২১ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি। প্লাবিত হচ্ছে জেলার কাজিপুর, সদর, চৌহালী, শাহজাদপুর, বেলকুচির চরাঞ্চল। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, যমুনা নদীর পানি আরও বেড়ে স্বল্প মেয়াদি বন্যা হতে পারে।
নেত্রকোনায় টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে ঢলে কলমাকান্দার উব্দাখালী নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় তলিয়ে আছে রাস্তাঘাট।
এদিকে..ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সিলোনিয়া নদী বাঁধের ১০ দিকে ভেঙে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। তলিয়ে গেছে ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। পানিবন্দি দুই উপজেলার অন্তত চার হাজার পরিবার।