ভিয়েতনামী নারিকেল বাগান করে ক্ষতিগ্রস্ত ঝিনাইদহের শতাধিক চাষী
- আপডেট সময় : ০৭:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
- / ১৬৭৪ বার পড়া হয়েছে
ভিয়েতনামী নারিকেল বাগান করে ক্ষতিগ্রস্থ ঝিনাইদহের শতাধিক চাষী। ৩ বছরে ফল ধরবে বলে কৃষি বিভাগ প্রতিশ্রুতি দিলেও, ৫ বছরে মেলেনি তার সত্যতা। লাখ লাখ টাকায় বাগান করে ফলন না আসায় গাছ কেটে ফেলেছেন অনেকে। কৃষি বিভাগ বলছে, সঠিক পরিচর্যার অভাবে ফল ধরেনি।
ভিডিও দেখে ভিয়েনামী নারিকেলের বাগান করতে উদ্বুদ্ধ হন কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম। প্রবাসী জীবন ফেলে দেশে ফিরে ২০১৭ সালে দেড় বিঘা জমিতে রোপন করেন ভিয়েতনামি নারিকেলের চারা।
লাখ লাখ টাকা খরচ করে ৪ বছরেও ফলন না পেয়ে জীবিকার তাগিদে আবারো পাড়ি জমান সৌদিতে। এখনও তার সেই বাগান রয়েছে। ফলন তো দূরের কথা এখন পর্যন্ত একটি ফলও পাননি তিনি।
একইভাবে ফলন না পেয়ে গাছ কেটে ফেলেছেন কালীগঞ্জ উপজেলার শিবনগরের গ্রামের সুরত আলী। ৪ বছর পার হলেও ফল পাননি সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিল্টন। এমনকি হর্টিকালচার সেন্টার থেকে চারা সরবরাহ করা হলেও তাদের প্রদর্শনীর গাছগুলোতেও ফল আসেনি।
কৃষি বিভাগ বলছে, পরামর্শ বাগানীরা সঠিকভাবে পালন করেনি, তাই ফল পাননি তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার ৬ উপজেলায় ভিয়েনামী নারিকেল গাছ রয়েছে প্রায় ২১’শ আর বাগানী রয়েছে শতাধিক।