ভয়াবহ দেশের বন্যা পরিস্থিতি : উত্তরাঞ্চলে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
- আপডেট সময় : ০৮:১৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
- / ১৬৯৯ বার পড়া হয়েছে
উজানের ঢলে কুড়িগ্রাম, বগুড়া, লালমনিরহাট, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। এই অবস্থা আরও সাত থেকে ১০ দিন থাকতে পারে। এ মাসের শেষ সপ্তাহের প্রথম ভাগে বৃষ্টি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিখোঁজের ১৫ ঘন্টা পর দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিখোঁজের ১৫ ঘন্টা পর দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। শেরপুরে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিবন্দি হাজারো মানুষ।
কুড়িগ্রাম ও বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতিতে বসতবাড়ী পানিতে তলিয়ে দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ৬ উপজেলার ২০ ইউনিয়নে লাখ খানেক মানুষ এখন পানিবন্দী।
বগুড়ার সারিয়াকান্দির মথুরাপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে নদী তীরবর্তী এলাকা ও চরাঞ্চল।
এক দিনের ব্যবধানে উন্নতি হয়েছে লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতি। সকাল ৯ টা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ধরলার পানি ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সীমান্তবর্তী অন্তত ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যালয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দিনদিন বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। পানিবন্দি হাজারো মানুষ।
জামালপুরে যমুনা ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদ সীমার ১৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়ার তিনটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকা-মোহনগঞ্জ রেলপথের বারহাট্টা এলাকায় বন্যার পানির তোড়ে একটি সেতু ভেঙে গেছে। এর ফলে এ পথে রেল-যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। সেতু ভেঙে পড়ায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আটকা পড়েছে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন এবং বারহাট্টায় মোহনগঞ্জগামী একটি লোকাল ট্রেন। খালিয়াজুরি, সদর, আটপাড়া ও বারহাট্টা উপজেলা মিলে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি।