ভয়াল ঘূর্ণিঝড় সিডরের ১৪তম বছর আজ
- আপডেট সময় : ০৫:২১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
- / ১৬৫৭ বার পড়া হয়েছে
আজ ১৫ নভেম্বর। ২০০৭ সালের এই দিনে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের সব জেলায় আঘাত হানে সুপার ঘূর্ণিঝড় সিডর। কেড়ে নেয় পটুয়াখালীর ৬৭৭ জন মানুষের প্রাণ। আহত হন প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মানুষ। ১৩ বছর ধরে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন ২ হাজার প্রতিবন্ধী। এদিকে, পিরোজপুরে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় কাজ করার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
১৪ বছর পেরিয়েও সিডরের স্মৃতি….. উপকূলীয় জনপদে দু:সহ এক আতঙ্কের নাম। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় অঞ্চলে সিডরের থাবায় মারা যান অন্তত ১৫ হাজার। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ক্যাটেগরি-৫ মাত্রার এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে।
সিডরে পটুয়াখালীতে নিখোঁজ অর্ধশত মানুষের কোন হদিস মিলে নি। বিধ্বস্ত হয় ৫৫ হাজার ঘর-বাড়ি। দেড় হাজার মসজিদ-মন্দিরসহ ৩৫১টি স্কুল-কলেজ। প্রায় ৫ লাখ একর ফসলি জমি নষ্ট হয়। বিলীন হয়ে যায় ২৫০ হেক্টর বনাঞ্চল। মারা যায় প্রায় ১৮ হাজার গবাদি পশু। ৪১২টি ড্রেনেজ স্লুইজসহ বিধ্বস্ত হয় কয়েশ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। পটুয়াখালীতে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের অধিকাংশই এখনও রয়েছে অরক্ষিত। এখনো নির্মাণ হয়নি পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার।
সেই রাতে ঘন্টায় ২৫০ কিলোমিটার বেগের ঘূর্ণিঝড়ের সাথে পাঁচ মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাসে বিরান করে এক মৃত্যুকূপে পরিণত হয় পুরো জেলা।
সিডরের ক্ষতিগ্রস্ত আরেকটি জেলা পিরোজপুর। ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক। সরকার সিডরে ক্ষতিগ্রস্থদের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
সিডরে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা ও উপকূলবাসীর সার্বিক উন্নয়নের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
স্মরণসভাসহ নানা কর্মসূচিতে বরগুনায় পালন হয়েছে সিডর উপলক্ষে নেয়া অনুষ্ঠান। প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দিবসটি পালন হয়। সকালে সদর উপজেলার গর্জণবুনিয়া এলাকায় সিডরে নিহতের গণকবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়াও আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।