মধ্যসত্ত্বভোগীদের সিন্ডিকেটে লোকসান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না পোল্ট্রি খামারিরা
- আপডেট সময় : ০৫:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৭২৫ বার পড়া হয়েছে
সরকারি প্রণোদনা ও নজরদারির অভাবে লোকসান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না টাঙ্গাইলের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীরা। ডিম ও মুরগির দাম বাড়লেও মধ্যসত্ত্বভোগীদের সিন্ডিকেটে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত খামারীরা। তারা বলছেন, মুরগির খাবারের দাম এক বছরের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে বেড়েছে পরিবহন খরচ। দ্রুত সরকারি নজরদারি ও প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি খুচরা বাজারে বেড়েছে ডিম ও পোল্ট্রি মুরগীর দাম। ডিমের হালি ৩০টাকা থেকে ৬০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা থেকে দুই শত টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবুও খামারীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী ও বড় বড় হ্যাচারী মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে মূল্যবৃদ্ধির সুবিধা পাচ্ছে না প্রান্তিক খামারীরা।
প্রতিটি ডিম উৎপাদন করতে ৯ টাকা ৫০ পয়সা খরচ হলেও বিক্রি করতে হচ্ছে ৮টাকা ৫০ পয়সায়। ফলে ডিম প্রতি লোকসান হচ্ছে এক টাকা। গত দশ বছরের মুরগির খাবারে দামের সাথে আনুপাতিক হারে বাড়েনি ডিমের দাম। সরকারী নজরদারী না থাকায় হ্যাচারী মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক খামারিরা।
ইতোমধ্যে পোল্ট্রি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করছে জেলার খামারীরা। দিনের পর দিন পুজি হারিয়ে অনেকেই এখন নি:স্ব ।
সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের এ নেতা।
তবে সংশ্লিস্টদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।
টাঙ্গাইলে ছোট বড় সব মিলিয়ে ৪ হাজার ১৫টি পোল্ট্রি খামার রয়েছে। বছরে ৭০ কোটির বেশি ডিম উৎপাদন হয় এ জেলায়।