মসলার আমদানী করে বিপাকে পড়েছেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০১:৩৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
- / ১৫৬৫ বার পড়া হয়েছে
কোরবানীর ঈদে চাহিদা বাড়ে বিভিন্ন ধরনের মসলার। কিন্তু এবার পশুর বাজারের চেয়েও স্থবিরতা নেমেছে মসলা বেচাকেনায়। ফলে কোরবানীর বাজারকে টার্গেট করে বিপুল পরিমান মসলার আমদানী করে বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, করোনার কারণে বিপর্যয় নেমেছে ব্যবসায়।
দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের চিত্র এটি। কোরবানী ঈদের অন্যতম অনুসঙ্গ বিভিন্ন ধরণের মসলায় ঠাসা প্রতিটি গুদাম। প্রতিবছর ঈদের অন্তত ৩ সপ্তাহ আগে থেকে বেচাকেনা জমে উঠলেও চিত্র ভিন্ন। বাজারে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও ক্রেতার দেখা নেই একেবারেই। তাই স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দাম কমিয়ে দিয়েও পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না বিক্রেতারা।
আমদানী নির্ভর যে কোন পণ্যের এলসি করতে হয় নির্ধারিত সময়ের অন্তত ২ মাস আগে। তাই করোনার শুরুতেই কোরবানীকে টার্গেট করে অধিকাংশ আমদানীকারকই পণ্য এনেছেন। এর ওপর গত ৪ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সবধরণের সামাজিক অনুষ্ঠান। তাই বিপুল পরিমান পণ্যের স্টকলড পাইকারী বাজারে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, খাতুনগঞ্জের অধিকাংশ ব্যবসায়ীই ব্যাংকের টাকায় প্রতিষ্ঠান চালান। তাদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। তাই সংকটকালিন সময়ে ঋণের সুদ আদায় স্থগিত রাখতে সরকারের প্রতি আহবান জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
বাজর ঘুরে দেখা গেছে ১৫ দিন আগে প্রতিকেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ২১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ৬৫ টাকার রসুন ৫০ টাকায়, ১৪০ টাকার আদা ১২০, ৭২০ টাকার লং ৬৪০, দুই হাজার ৮শ’ টাকার এলাচ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৫ শ’ টাকায়। এছাড়া জিরা, ধনে, হলুদ, দারচিনি, গরমসলাসহ সব ধরণের মসলার দাম কমেছে কেজি ৩০ টাকা থেকে ৩ শো টাকা পর্যন্ত।