মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের উদ্বোধন দু’বছর পর
- আপডেট সময় : ০২:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৬৫৪ বার পড়া হয়েছে
আসছে আগস্টেই মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ শুরু হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের শেষে অপারেশনে আসবে নতুন এই বন্দর। দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশি দেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে কর্তৃপক্ষের। বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বিদেশি বিনিয়োগের যে অপার সম্ভাবনা আরো এক ধাপ এগিয়েছে এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে।
পরিত্যক্ত সাগরের বেলাভূমি কেটে তৈরী করা হয়েছে ১৪ কিলোমিটার লম্বা এই কৃত্রিম চ্যানেল। দুর্যোগ দুর্বিপাকে যাতে চ্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য তৈরী করা হয়েছে ব্রেক ওয়াটার। যা উত্তাল ঢেউয়ের গতি নিয়ন্ত্রন করবে। অত্যাধুনিক এই চ্যানেলের একটি অংশ ব্যবহার হবে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পণ্য আনা নেয়ায়। আর অন্য অংশ ঘিরে তৈরী হবে বন্দর।
নতুন এই চ্যানেলে প্রবেশ করবে ১৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ। এতে গভীর সমুদ্র বন্দরের গৌরব অর্জন করবে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে অর্থের যোগান, জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনসহ কেটে গেছে সব অনিশ্চয়তা। শিগগিরি কাজ শুরু করতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ
নতুন এই বন্দর পরিদর্শন করেছেন বিডার প্রতিনিধি দল। তাদের দাবি, এগিয়ে চলা বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের যে অপার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে, যা আরো সমৃদ্ধ হবে গভীর সমুদ্র বন্দরকে ঘিরে।
আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চড়া মাশুলে সিঙ্গাপুর আর মালশিয়ার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ব্যবহার করতে হয় বাংলাদেশি আমদানী ও রপ্তানীকারকদের। মাতারবাড়ির জেটিতে ১৮ মিটার ড্রাফটের মাদার ভেসেল সরাসরি বার্থিং পেলে সাশ্রয় হবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।
নতুন এই বন্দর নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। যার মধ্যে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি টাকার যোগান দেবে জাইকা। ভাগাভাগি করে বাকি টাকার সংস্থান করবে বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।