মাস্ক, পিপিই কেলেংকারিতে দুদকে জেএমআই চেয়ারম্যান ও তমা কন্সট্রাকশন কর্মকর্তা
- আপডেট সময় : ০৭:৪২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
- / ১৫৫৭ বার পড়া হয়েছে
মাস্ক-পিপিইসহ করোনা সুরক্ষা সরঞ্জাম নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগের জবাব দিতে দুদকে এসে ব্যাখ্যা দিয়েছেন আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান- জেএমআই’র চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এবং তমা কনষ্ট্রাকশনের সমন্বয়ক মতিউর রহমান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি জেএমআই’র চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। দুদক সচিব দেলোয়ার বখত জানান, সরকারি আমলা কিংবা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান– করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। একই সঙ্গে করোনার চিকিৎসায় রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ আমলে নেয়া হবে বলেও জানান দুদক সচিব।
মাস্ক পরা মানুষটির নাম আব্দুর রাজ্জাক। চেহারাটা অপরিচিত হলেও দেশবাসীর কাছে নামটি অনেক পরিচিত। করোনা সংকটের শুরুতেই আসল মোড়কে নকল এন ৯৫ মাস্ক সরবরাহ করে আলোচনায় আসা জেএমআই নামের কোম্পানিটির চেয়ারম্যান তিনি। বুধবার মাস্কসহ করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের তলবে হাজির হন তিনি। একই দিন সেগুন বাগিচার দুদক কার্যালয়ে হাজির হন তমা কনষ্ট্রাকশনের প্রধান সমন্বয়ক মতিউর রহমান। প্রায় ৩ ঘন্টা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা।
পরে গণমাধ্যম কে দেয়া আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় দুদক সচিব জানান কেন তাদের তলব করা হয়েছে।
শুধু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নয়, স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজ আমলাদের বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা নেয়া হবে, সেই প্রশ্নের জবাবও দেন তিনি।
করোনার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ আমলে নেয়া হবে বলেও জানান দুদক সচিব।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেএমআই-র চেয়ারম্যানকে আসল মোড়কে নকল মাস্ক দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাব দিতে অস্বীকার করেন তিনি।
আর তমা কন্সট্রাকশনের সমন্বয়ক মতিউর রহমান জানান, ৩ লাখ মাস্কের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে ১ লাখ ৯০ পিস এর মাঝে মাত্র ৬০ পিস মাস্ক কম দেয়ার অভিযোগে তলব করা হয়েছে তার প্রতিষ্ঠানকে।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে দুদকের তলবে হাজির হননি এলান কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন এবং আগামীকাল আরো দুটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।