মিয়ানমারের ৬৩ জন সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে
- আপডেট সময় : ০৫:০২:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৭২১ বার পড়া হয়েছে
অভ্যন্তরীন যুদ্ধের কারণে নতুন করে মিয়ানমারের ৬৩ জন সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এতে আশ্রিতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩২৭ জন। উত্তপ্ত মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করে বিজিবির নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জান সিদ্দিকী বলেছেন, পরিস্থিতি যাই হোক, সীমান্ত দিয়ে আর কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভুত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত বিজিবি। এদিকে সীমান্ত এলাকা থেকে ২শ’ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন।
আরাকান আর্মিসহ জান্তা বিরোধী বিদ্রোহীদের সঙ্গে পরাস্ত হয়ে সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিজিপির সদস্যদের বাংলাদেশে আসা অব্যাহত রয়েছে। সবশেষ আরও ৬৩ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করায় আশ্রয় নেয়াদের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩২৭ জন।
অভ্যন্তরীন যুদ্ধ চলতে থাকায় সীমান্ত এলাকায় এসে পড়ছে গুলি ও গোলা। এতে বর্ডার লাইনের কাছাকাছি বসবাসকারী বাংলাদেশীদের মধ্যে ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপর্ণ এলাকার অন্তত দু’শ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিজিবি নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। গাড়ি থেকে নেমেই সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত বিজিবি সদস্যদের মনোবল শক্ত রেখে সাহস না হারানোর পরামর্শ দেন তিনি।
পরে ঘুমধুমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজে সাংবাদিকদের সবশেষ পরিস্থিত ব্রিফ করেন বিজিবি মহাপরিচালক।
মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলা ও গুলিতে দু’জন নিহতের ঘটনায় সমবেদনা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য্য ধারণ করে, মানবিক থেকে আন্তর্জাতিক সু-সম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে বলেও জানান বিজিবি প্রধান।
বিকেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত বিজিপি সদস্যদের খোঁজ খবর নেন মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জান সিদ্দিকী।