মিরানুল ইসলামের তদন্তে গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি উচ্চ আদালতের
- আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মেয়েকে তার মা’সহ গরু চুরির অপবাদ দিয়ে কোমরে দড়ি বেঁধে পুরো গ্রাম ঘোরানো এবং বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেষ্টার করা হলে বন্ধ পাওয়া যায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিরানুলের মুঠোফোন। আর আইন হাতে তুলে নেয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুলের বিরুদ্ধে মামলা করার পাশাপাশি তার জনপ্রতিনিধি পদ কেড়ে নেয়া উচিত বলেও মত দেন মানবাধিকার কর্মী ও আইন বিশেষজ্ঞরা। আর তদন্তে গাফিলতি পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে উচ্চ আদালত।
২৫ বয়সী রোজিনা বিয়েতে রাজি না হওয়া মা পারভীন আক্তার, বোন সেলিনাসহ ৫ জনকে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে দড়ি বেঁধে কক্সবাজারে চকরিয়ায় প্রকাশ্য সড়কে হাটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে। সেখানে চেয়ারম্যান মিরানুলের নেতৃত্বে বেধড়ক মারধর করার পর তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। পরে ৫ জনকে আসামী করে গরু চুরির মামলা করা হয়।
এই ঘটনা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে উঠে সমালোচনার ঝড়। অভিযোগ উঠে গরু চুরির অপবাদে রোজিনা ও তার পরিবারের উপর নিজের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম।
তবে অভিযোগের বিষয়ে মিনারুলের সঙ্গে একাধিকার চেষ্টা করা হলেও ইউপি চেয়ারম্যান মিনারুলের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সাংবিধানিক পদে থেকে অন্যের মর্যাদা ক্ষুন্ন এবং আইন হাতে তুলে নেওয়ায় মিনারুলের পদ কেড়ে নেওয়া উচিত বলে মত দেন আইনজীবীরা।
রাজনৈতিক পদের ফায়দা নেয়ার পাশাপাশি আইনের প্রতি আস্থা কমায়, আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবনতা বাড়ছে বলেও মনে করেন তারা।
আইনজীবীরা আরো জানান, এ বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে হাইকোর্ট জানায় বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং তদন্তে গাফিলতি করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।