মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরাই এবারের বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ
- আপডেট সময় : ০২:২৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
- / ১৬৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাগারম্বর নয়, মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টেনে ধরাই এবার জাতীয় বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে সামাজিক উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছনো এবং করোনা ও যুদ্ধে বিপর্যস্ত ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পকে সুরক্ষা দিতে হবে। এমনটাই মত অর্থনীতিবিদদের। কর্মসংস্থান তৈরী, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়ানো ও রপ্তানীখাত বৈচিত্রকরণে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এর বাইরে বৈশ্বিক মন্দায় অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা দুরহ হয়ে পড়বে।
বাজারে গেলে নাভিশ্বাস উঠে সাধারণ মানুষের। ক’মাস আগেও যেখানে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার নিত্যপণ্যে নিন্মবিত্ত শ্রেণির মাঝারি আকারের একটি সংসার চলতো; এখন তার খরচ ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। সরকারি হিসেবে মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশের নিচে ধরে রাখলেও বাস্তবতা আলাদা।
এমন বাস্তবতায়, আসছে বাজেটে মুদ্রাস্ফীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
শুধু আকারে বড় হলেই জনবান্ধব বাজেট হয়না; তার জন্য সরকারের বাস্তবায়নের সঠিক রূপরেখা ও কঠোর মনিটরিং থাকতে হয়। যার প্রতিফলন ঘটাতে হয় জাতীয় বাজেটে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অতীতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অপচয়, মিথ্যা ঘোষনায় আমদানী দেখিয়ে টাকা পাচার হওয়ায়, বিপর্যয় নেমেছে অর্থনীতিতে। ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এসএমই খাত। নতুন বাজেটে জনশক্তি নির্ভর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষা দিতে হবে।
টিসিবিকে সক্রিয় করা, করোনার শুরু থেকে সামাজিক উন্নয়ন খাতে ব্যয় বাড়াচ্ছে সরকার। এবার সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে এই সুফল কতটুকু পৌছচ্ছে সেই প্রশ্ন রয়েই গেছে।