০৬:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

মেক্সিকোর ছাত্র অপহরণ মামলায় জড়িত পুলিশ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩
  • / ১৬৯১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শুধু পুলিশ নয়, সেনা বাহিনীর অফিসারেরাও ওই ছাত্রদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা জানতেন বলে রিপোর্টে প্রকাশ।

২০১৪ সালে ৪৩ জন ছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছিল মেক্সিকোয়। তার কিছুদিনের মধ্যেই একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করা হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে সমান্তরাল তদন্ত চালানোর জন্য। মাঝে মেক্সিকোর সরকার বদলেছে। তদন্তি কমিটিকে নতুন করে কাজ শুরু করতে হয়েছে। অবশেষে মঙ্গলবার তারা তাদের রিপোর্ট পেশ করেছে।

রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সেনা, জলসেনা এবং পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তারা জানতেন ওই ছাত্রদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে তারা তা জানাননি। ছাত্রদের উদ্ধারের ব্যবস্থাও করেননি। রিপোর্টের আশঙ্কা, ওই কর্মকর্তারা সরাসরি ড্রাগ মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত অথবা তাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত। সে কারণেই তারা ওই ছাত্রদের উদ্ধারের চেষ্টা করেননি।

বস্তুত, ওই ছাত্রদের অপহরণের পিছনেও পুলিশ এবং সেনার হাত থাকতে পারে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এর সঙ্গে জড়িত বলে জানানো হয়েছে। ৪৩ জনের মধ্যে ১৭ জন ছাত্র কোথায় আছে, সেই রিপোর্ট প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে ছিল বলে জানানো হয়েছে। বস্তুত, ওই ঘটনার পর সেনা এবং জলসেনা বেশ কয়েকটি ভুয়া অপারেশন চালায় বলে অভিযোগ। সেখানে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। কিন্তু ওই ব্যক্তিদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই ব্যক্তিদের উপর অত্যাচার চালিয়ে ভুল জবানবন্দি আদায় করার চেষ্টা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।

মঙ্গলবার এই রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পর রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গেছে মেক্সিকোয়। এর আগেও সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে ড্রাগ মাফিয়াদের যোগাযোগের অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে। কিন্তু এত স্পষ্ট করে লিখিত আকারে এমন অভিয়োগ বিরল।

২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইগুয়ালা শহর থেকে ৪৩ জন ছাত্র নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে জানা যায়, ড্রাগ মাফিয়ারা তাদের অপহরণ করেছে। বহু তদন্তের পরেও তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি। অনেক পরে তিনজন ছাত্রেদর লপোড়া দেহাংশ মেলে। বাকি ছাত্রদেরও মেরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আশঙ্কা।

ডয়চে ভেলে

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মেক্সিকোর ছাত্র অপহরণ মামলায় জড়িত পুলিশ

আপডেট সময় : ১২:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩

শুধু পুলিশ নয়, সেনা বাহিনীর অফিসারেরাও ওই ছাত্রদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা জানতেন বলে রিপোর্টে প্রকাশ।

২০১৪ সালে ৪৩ জন ছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছিল মেক্সিকোয়। তার কিছুদিনের মধ্যেই একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করা হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে সমান্তরাল তদন্ত চালানোর জন্য। মাঝে মেক্সিকোর সরকার বদলেছে। তদন্তি কমিটিকে নতুন করে কাজ শুরু করতে হয়েছে। অবশেষে মঙ্গলবার তারা তাদের রিপোর্ট পেশ করেছে।

রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সেনা, জলসেনা এবং পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তারা জানতেন ওই ছাত্রদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে তারা তা জানাননি। ছাত্রদের উদ্ধারের ব্যবস্থাও করেননি। রিপোর্টের আশঙ্কা, ওই কর্মকর্তারা সরাসরি ড্রাগ মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত অথবা তাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত। সে কারণেই তারা ওই ছাত্রদের উদ্ধারের চেষ্টা করেননি।

বস্তুত, ওই ছাত্রদের অপহরণের পিছনেও পুলিশ এবং সেনার হাত থাকতে পারে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এর সঙ্গে জড়িত বলে জানানো হয়েছে। ৪৩ জনের মধ্যে ১৭ জন ছাত্র কোথায় আছে, সেই রিপোর্ট প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে ছিল বলে জানানো হয়েছে। বস্তুত, ওই ঘটনার পর সেনা এবং জলসেনা বেশ কয়েকটি ভুয়া অপারেশন চালায় বলে অভিযোগ। সেখানে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। কিন্তু ওই ব্যক্তিদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই ব্যক্তিদের উপর অত্যাচার চালিয়ে ভুল জবানবন্দি আদায় করার চেষ্টা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।

মঙ্গলবার এই রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পর রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গেছে মেক্সিকোয়। এর আগেও সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে ড্রাগ মাফিয়াদের যোগাযোগের অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে। কিন্তু এত স্পষ্ট করে লিখিত আকারে এমন অভিয়োগ বিরল।

২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইগুয়ালা শহর থেকে ৪৩ জন ছাত্র নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে জানা যায়, ড্রাগ মাফিয়ারা তাদের অপহরণ করেছে। বহু তদন্তের পরেও তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি। অনেক পরে তিনজন ছাত্রেদর লপোড়া দেহাংশ মেলে। বাকি ছাত্রদেরও মেরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আশঙ্কা।

ডয়চে ভেলে