মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ইলিশ না পাওয়ায় দুর্দিন চলছে জেলে পরিবারগুলোতে
- আপডেট সময় : ০৫:৫২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
- / ১৬৪১ বার পড়া হয়েছে
ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে কাঙ্খিত ইলিশ না পাওয়ায় দুর্দিন চলছে জেলে পরিবারগুলোতে। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায়, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে, জাল নিয়ে নদীতে নেমে হতাশ তারা। জেলার তুলাতলি, নাজিরপুর, হাকিমউদ্দিন মাছঘাট, চৌমুহনী, বার্তিরখাল ও সামরাজ ঘাটের জেলেরা মাছ শিকারে না নেমে, বেকার সময় পার করছেন। অর্থ কষ্টে অনেকে পেশা বদল করে শহরমুখী হচ্ছেন। তবে মৎস্য বিভাগের মতে, খুব শিগগিরই জেলেদের জালে ধরা দেবে কাঙ্খিত ইলিশ।
১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রস্তুতি নিয়েইলিশ ধরতে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে নামে জেলেরা। কিন্তু কাঙ্খিত ইলিশ না পাওয়া হতাশ তারা। এমনকি নৌকার বাজার খরচ, সংসার খরচ চালাতে পারছে না বেশিলাগ জেলে। যাদের জেলে নামমাত্র ইলিশ ধরা পড়ছে, তাদেরও আড়ৎদারী কাটার পর নিজেদের চলতে কস্ট হয়।
মহাজনের দাদন আর এনজিও ঋণ নিয়ে দিশেহারা জেলে ও ব্যবসায়ীরা। মাছ না থাকায় মহাজনরা নতুন করে দাদন দিতে রাজি হচ্ছে না। পুরনো দাদন পরিশোধে চাপ দিচ্ছে। উপায়ন্ত না দেখে জীবিকার সন্ধানে অনেক জেলে পেশা পরিবর্তনে এলাকা ছেড়ে শহরমুখী হচ্ছে।
স্বল্প সংখ্যম মাছ পেয়ে জেলেরা সংসার চালালেও, ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। পুঁজি হারানো সঙ্কায় মহাজনরা। ব্যাংক ঋণ নিয়ে জেলেদের দাদন দিয়ে তারা রয়েছে চরম বিপাকে।
জেলা মৎস কর্মকর্তা জানান, জেলেরা চাহিদা অনুযায়ি মাছ না পেলেও, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কয়েক দিন পরেই ব্যাপক পরিমান ইলিশ মিলবে।
দ্রুত জেলেদের জালে কাঙ্খিত ইলিশ মিলবে এমনটই প্রত্যাশা ভোলার জেলেদের।