মেয়ের নিরাপত্তায় স্পেশাল ফোর্স গঠন করেছিলেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন
- আপডেট সময় : ১১:১৬:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ২২০৮ বার পড়া হয়েছে
মেয়ের নিরাপত্তার জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ওয়াকিটকি দিয়ে স্পেশাল ফোর্স গঠন করেছিলেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। নানা অপকর্মের জন্য অর্ণা তার অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে গড়েছিলেন ‘আপুলীগ’। নিয়েছিলেন দলীয় পদ থেকে চাকরিও। তার সকল অপকর্মের প্রকাশ্যেই সায় দিয়ে গেছেন লিটন। ফলে অর্ণার বিরুদ্ধে কখনো নালিশ করারও সাহস পায়নি কেউ।
বাপ-দাদার পরিচয় ভাঙিয়েই রাজশাহীতে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন লিটনকন্যা আনিকা ফারিহা জামান ওরফে অর্ণা জামান। দখলে নেন আওয়ামীপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ- স্বাচিপের রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের পদ। বিভিন্ন ইউনিটে প্রভাব খাটাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে অঘোষিতভাবে গঠন করেন-আপু লীগ। নিরাপত্তার জন্য গঠন করা হয় অর্ণা স্পেশাল ফোর্স বা এএসএফ। ব্যক্তিগত চলাফেরা থেকে রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক… যে কোনো অনুষ্ঠানেই এএসএফ সদস্যরা হাতে ওয়াকিটকি নিয়ে তাকে অনুসরণ করতো ছায়ার মতো।
রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের মতো কেপিআই এলাকাতেও অর্ণা জামান ও তার বাহিনীর দাপট ছিল অন্যরকম। বিমানবন্দর ব্যবহারে কোনো নিয়ম কানুনই মানতেন না তিনি। নেতাকর্মীর বহর নিয়ে অবাধে ব্যবহার করতেন ভিআইপি লাউঞ্জ। অর্না সড়কে উঠলে এভাবেই তার প্রটোকলে পুরো রাস্তা ব্লক করে চলতেন এএসএফ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অর্ণা তার বাহিনী নিয়ে মেতেছিলেন টেন্ডার কমিশন এবং বদলী বাণিজ্যেও।
এসএসসিতে অর্না জিপিএ-৫ না পাওয়ায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যানের ওপর বেজায় চটেছিলেন খায়রুজ্জামান লিটন। হুমকির পরও রেজাল্ট পরিবর্তন না করায় শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে বদলী করান তিনি।
এদিকে, মেয়র থাকাকালে দলের প্রভাব খাটিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারেও মেয়েকে চাকরি দিয়েছিলেন লিটন। কিন্তু অর্না কখনো অফিসের শিষ্টাচার মানতেন না। তার বেপরোয়া চলাচলে অতিষ্ঠ ছিলেন মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকরাও।
অর্ণা জামান আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনিও।