‘মোখা’র অগ্রভাগ কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে
- আপডেট সময় : ০১:৩৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
- / ১৬০৮ বার পড়া হয়েছে
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র অগ্রভাগ বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে মানুষদের।
চট্টগ্রামে ধীরে ধীরে উত্তাল হয়ে উঠছেবঙ্গোপোসাগর। শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত, সাথে দমকা হাওয়া আতঙ্ক ছড়াচ্ছে উপকূলে। উপকূলে ঝুঁকিপুর্ণভাবে বসবাসরত ৭০ শতাংশ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে এসেছে। বাকিদের সরিয়ে আনতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ রেড ক্রিসেন্ট, গাউসিয়া কমিটির মতো সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা কাজ করছেন। তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম বন্দর ও শাহ আমানত বিমান বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
নোয়াখালীতে বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতসহ ঝোড়ো হাওয়া বইছে। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৪৬৩ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, যাতে ৩ লাখ ৩ হাজার ৬’শ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। প্রস্তুত রয়েছে ৮ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী।
পটুয়াখালীতে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান নিয়েছে মোখা। উত্তাল কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় এলাকা জলোচ্ছাসে প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছে আবহাওয়া অফিস।
ঝালকাঠিতে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। জেলার সুগন্ধা, বিশখালি ও হলতা নদীতে ১ থেকে ২ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় মোট ৪২৭টি আশ্রয় কেন্দ্র, ৫টি কন্ট্রোল রুম, ও ৩২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিয়োজিত রয়েছে ১২০জন স্বেচ্ছাসেবক। মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় হালকা বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ পুরোপুরি মেঘাচ্ছন্ন না থাকলেও পরিবেশ গুমোট। একইসঙ্গে বাড়ছে নদনদীর পানি।
চাঁদপুরে নদী উপকূল ও চরাঞ্চলে সতর্কতামূলক প্রচারণা চালিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। প্রচারণায় মাছ ধরার ট্রলার, জেলে ও চরাঞ্চল বাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে মাইকিং করা হয়। এদিকে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।