ময়মনসিংহে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং ও প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
- আপডেট সময় : ০৩:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
- / ১৬৯১ বার পড়া হয়েছে
ময়মনসিংহে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং ও প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সেহরি, ইফতার ও তারাবিতে কিছুটা মিললেও বেশিরভাগ সময়ই থাকছে না বিদ্যুৎ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। কারণ হিসেবে উৎপাদন ঘাটতিকে দায়ী করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
গরম পড়ার শুরুতেই গত বছরের মতোই এবছরও শুরু হয়েছে লোড শেডিং। ঘন-ঘন লোডশেডিংয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনসহ ও বাধাগ্রস্ত ব্যবসা বাণিজ্য হচ্ছে। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের অবস্থা ক্রমশ্ব নাজুক হয়ে পড়েছে।
অব্যাহত লোডশেডিংয়ে চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া । ময়মনসিংহের প্রায় সব এলাকাতেই সমানতালে চলছে লোডশেডিং। এছাড়া জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় অন্তত ২০ দিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে পল্লী বিদ্যুতের অধীন গ্রামগুলোতে এর মাত্রা আরও বেশি। ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় প্রতিদিন সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ৭৮০ মেগাওয়াট। এরমধ্যে পুরো ময়মনসিংহের চাহিদা ৩৬০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সরবরাহ রয়েছে ৬৪০ মেগাওয়াট। এতে ঘাটতি ১৪০ মেগাওয়াট। যে কারণে ময়মনসিংহসহ বিভাগীয় জেলা নেত্রকোণা, জামালপুর ও শেরপুরে লোডশেডিং হচ্ছে।
বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড থেকে গ্যাসের সরবরাহ কম এবং জামালপুরে শিকদার গ্রুপের ৯৫ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে না। মূলত এই কারণেই ময়মনসিংহে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে বলে জানান পিডিবি’র এই কর্মকর্তা।
জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিদ্যুৎ বিভাগ, এমনটাই প্রত্যাশা ময়মনসিংহবাসীর।