রপ্তানীমুখী অধিকাংশ গার্মেন্টস কারখানাই খুলেছে চট্টগ্রামে
- আপডেট সময় : ০২:১৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মে ২০২০
- / ১৫৫৩ বার পড়া হয়েছে
সরকারের নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সুযোগে রপ্তানীমুখী অধিকাংশ গার্মেন্টস কারখানাই খুলেছে চট্টগ্রামে। বিজিএমইএ বলছে, বিদেশী বায়ারদের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কারখানা খুলতে বাধ্য হয়েছেন তারা। তবে রোটেশন করে একসঙ্গে ৩০ শতাংশের বেশী শ্রমিককে কাজে না লাগানোর পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনীতিকে সচল রাখতে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করার সুপারিশ করেছে চট্টগ্রাম চেম্বার।
২৫ মার্চ অঘোষিত লকডাউন শুরু হবার আগে থেকে টানা ৬ মাস নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিলো তৈরী পেষাক খাতে। আর লকডাউন শুরুর পর তো হুমকিই হয়ে দাড়িয়েছিলো এ খাতের ভবিষ্যত। কিন্তু ক’দিন পরই কারখানা খুলতে ব্যাস্ত হয়ে ওঠেন গার্মেন্টস মালিকরা। তাদের দাবি কম্বোডিয়া, ভিয়েতনামের মতো প্রতিযোগী দেশগুলোতে লকডাউন না থাকায় বায়ারদের ধরে রাখতে গার্মেন্টস খুলতে বাধ্য হয়েছেন তারা। তবে সরকারের শর্তগুলো শতভাগ মেনে চলার চেষ্টা করছেন বলে দাবি বিজিএমইএর।
তবে এখনো জনসমাগমকে সমর্থন করছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। সিভিল সার্জন বলছে সংক্রমণ রোধে জনসমাগম এরিয়ে চলতে হবে যে কোন মুল্যে। আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, সল্পসংখ্যক শ্রমিককে কাজে লাগিয়ে সংকট মোকাবিলার কথা।
তৃতীয় বিশ্বের দেশে দীর্ঘ মেয়াদে লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত কার্যকর করা কঠিন। তাই স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্ময় করে শ্রমিকদের নিরাপত্ত্বার নিশ্চয়তা দিয়ে উৎপাদন মুখি প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে খোলার আহবান চট্টগ্রাম চেম্বারের। ইউরোপ-আমেরিকার মতো রপ্তানীমুখী দেশগুলোতে করোনার দাপট কমে আসার সুযোগে নতুন অর্ডার আসতে শুরু করেছে তৈরী পোষাক খাতে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঝুকিমুক্ত ভাবে গার্মেন্টস পরিচালনা করতে পারলে তৈরী পোষাক খাতে ফের একছত্র আধিপত্য বিস্তার করবে বাংলাদেশ এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ফুটেজ-৩