রাজধানীতে রাত নামলেই সড়কে সড়কে বাড়তে থাকে চাঁদাবাজি
- আপডেট সময় : ০৩:১৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫৭২ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীতে রাত নামলেই সড়কে সড়কে বাড়তে থাকে চাঁদাবাজি। মালবোঝাই ট্রাক, পিকআপ কিংবা কার্গো আসা-যাওয়ার পথে কেউই রক্ষা পায়না চাঁদাবাজের হাত থেকে। মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সামনেই চলে তোলাবাজি। প্রতিটি মালবোঝাই গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করা হয় ৩০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। পণ্যবাহী পরিবহণ থেকে চাঁদা আদায়ে কোনো বৈধতা না থাকলেও, সিটি কর্পোরেশনের নামে প্রতিদিনই চলে রমরমা চাঁদা বাণিজ্য।
যানজটের দখলে থাকা ব্যস্ত নগরীতে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে সরব হয়ে উঠে চাঁদাবাজের দৌরাত্ম। ঘড়ির কাটায় রাত ১২টা… রাজধানীর টিকাটুলি ও ওয়ারি এলাকা… মালবোঝাই পিকআপ, ট্রাক কিংবা কার্গো আসা মাত্রই ঘিরে ফেলে চাঁদাবাজরা। কারোরই রক্ষা নেই তাদের হাত থেকে। ছোট-বড় সব গাড়ি থেকেই চাঁদা তোলা হয় ৩০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। তবে ক্যামেরা দেখে মুহুর্তের মধ্যেই দৌঁড়ে পালিয়ে যায় তারা।
টিকাটুলি থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার পরেই যাত্রাবাড়ী মোড়। একটু আগে চাঁদা দিয়ে এসে আবারও চাঁদাবাজদের মুখোমুখি। দিতে হয় আবারও ৩০ থেকে ৭০ টাকা।
মালবাহী একটি পরিবহণেরও নিস্তার নেই তাদের হাত থেকে। চাঁদা না দিলে গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে ফেলা হয়। সিটি কর্পোরেশনের পোশাক পরেই চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।
ক্যামেরা দেখে অনেকে দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও পালাতে ব্যর্থ হয় অনেকে। তখনই দেখা যায় নামে বেনামে চাঁদা তুলছে তারা।
ট্রাফিক পুলিশের সামনে এমন চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটলেও এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। এসময় নিজেদের নেম প্লেট খুলে ডিউটি করতে দেখা যায় কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবলকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা জানান, এভাবে চাঁদা আদায়ের কোনো নির্দেশনা নেই।
অভিযোগ যাচাই বাছাই করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি। এসব চাঁদাবাজদের দাপট থেকে নিস্তার চান পরিবহণ চালক ও সংশ্লিষ্টরা।