রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব গার্মেন্ট শিল্পে
- আপডেট সময় : ০১:৪৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৭৪ বার পড়া হয়েছে
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে, দেশের অধিকাংশ গার্মেন্ট কারখানা আগামী মাস থেকে শ্রমিকদের বেতন দিতে পারবে না। এমন আশংকা প্রকাশ করেছে বিজিএমইএ। এই অবস্থায় শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে ইপিজেডসহ গার্মেন্ট কারখানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে বিজিএমইএ।
সংগঠনটির দাবি, বেশিরভাগ গার্মেন্ট কারখানা সাব-কন্ট্রাক্ট বন্ধ করার পাশাপাশি সক্ষমতার সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ ব্যবহার করছে। এই অবস্থায় বেশি দিন কারখানা চালানো সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে অর্ডারের পরিমান কমলেও শ্রমিকদের বেতন না দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়নি।
করোনার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ফের সংকটের মুখে দেশের তৈরী পোষাক শিল্প। দিন যতো যাচ্ছে, অর্ডারও ততো কমছে। বায়ারদের অনুরোধে অনেক গার্মেন্ট ফিনিশ গুডস জাহাজীকরণ করতে পারছে না।
উদ্যোক্তারা বলছেন, কম-বেশী সব গার্মেন্টেই পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। সাব-কন্ট্রাকট নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ কারখানা সক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করতে পারছে না।
বিজিএমইএ বলছে, এভাবে চলতে থাকলে বেশিরভাগ কারখানায় বেতন দেয়ার সক্ষমতা হারাবে। এতে তৈরী হতে পারে শ্রমিক অসোন্তোষ। চট্টগ্রামে প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন আশংকা করেছে সংগঠনটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের কারণে অর্ডার কমেছে ঠিক, কিন্তু করোনার মতো অবস্থা তৈরী হয়নি এখনো। তাই শ্রমিকদের বেতন না দেয়ার অগ্রিম আশংকা প্রকাশ মালিকদের আন্তরিকতার অভাব।
করোনার সময় একমাস বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের বেতন দেয়ার শর্তে স্বল্পসুদে প্রনোদনা ঋণ দিয়েছিল সরকার। কিন্তু এবার সেপথে হাঁটেনি গার্মেন্ট মালিকরা।