‘রাসেলস ভাইপার নিয়ে যেসব তথ্য ছড়িয়েছে তার অধিকাংশই গুজব’
- আপডেট সময় : ১২:৩১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
- / ১৮৪৮ বার পড়া হয়েছে
রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে তার অধিকাংশই গুজব বলে দাবি করছেন সাপ গবেষকরা। আর এতে শুধু রাসেলস ভাইপারই নয় সব ধরনের সাপই হুমকির মুখে পড়েছে। যা পরিবেশের জন্য ভয়ংকর ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন তারা। আর চিকিৎসকরা বলছেন, চন্দ্রোবোড়া সাপের প্রতিষেধক দেশের সব সরকারী হাসপাতালে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে এই সাপে কামরালে ওঝার কাছে না গিয়ে দ্রুত হাসপাতালে আসার পরামর্শ তাদের।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেনম গবেষনা সেন্টারে ৪ শো সাপের মধ্যে রাসেল’স ভাইপার বা চন্দ্রবোরা সাপের সংখ্যা ৫০ টি‘র বেশি। অর্থাৎ সাপটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছিলো এই তথ্যটি পুরোটাই গুজব। এছাড়া মানুষ দেখলে তারা করে এসে কামরানো কিংবা অন্যান্য সাপের তুলনায় বংশ বিস্তার করে দ্রুত। এসব তথ্যের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ফুটেজ-১
শুধু রাসেলস ভাইপারই নয় এখানে আছে গোখরো, কাল কেউটে, দারাজ, শঙ্খচুড়াসহ অন্তত ১০ প্রজাতির বিষধর সাপ। গবেষকরা বলছেন, সাধারণত ইদুর, টিকটিকি জাতীয় কৃষি কজের জন্য হুমকি এমন পোকামাকর রাসেল’স ভাইপারের প্রধান খাদ্য। তাই কৃষিক্ষেত ও ছোটখাটো জলাশয়ের আশেপাশে থাকাটাই তাদের পছন্দ। পানিতে দ্রুত সাঁতরানোর সক্ষমতা থাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নতুন নতুন এলাকায় এই সাপের দেখা মেলে। তবে এবার এদের আনাগোনা অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিসংখ্যন বলছে, ২০২৩ সালে এক হাজার ৩৬৮ জন সাপে কাটা রোগী এসেছে হাসপাতালে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মাত্র দুই জনের। এন্টিভেনম প্রয়োগ করতে হয়েছে ৪৩ জনকে। বাকি এক হাজার ৮৮ জনই বিনা চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন। তাই সাপে কাটলেই আতঙ্কিত না হয়ে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ চিকিৎসকদের। বর্তমানে ভারতীয় একটি এন্টিভেনম প্রয়োগ করা হচ্ছে। যা রাসেল’স ভাইপার, গোখরাসহ চারটি বিষধর সাপের ক্ষেত্রে কাজ করছে। কিন্তু অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে শুরুতে প্রচলিত কবিরাজী পদ্ধতির প্রয়োগ করায় জটিলতা বাড়ছে।