১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

রোজিনার জামিন শুনানির আদেশ রোববার

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:০১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১
  • / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দিনভর অপেক্ষার পর আজও জামিন হয়নি সাংবাদিক রোজিনার। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভার্চ্যুয়ালি জামিন শুনানির পরে রোববার আদেশ দেয়ার কথা জানান আদালত। আসামীপক্ষের দাবি, রোজিনা রাষ্ট্রের বিপক্ষে নয় বরং পক্ষে কাজ করেছেন এবং একজন নারী ও অসুস্থ ব্যক্তি হিসেবে জামিন পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, নিজের অপরাধ স্বীকার করে মুচলেকা দিতে চেয়েছিলেন রোজিনা। সেই ভিডিও আদালতের কাছে উপস্থাপনের পরই জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে আদালত।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা। সচিলাবালয়ে স্বাস্থ্য সচিবের একান্ত সচিবের রুমের ভেতরের দৃশ্য এটি। একটানা মানসিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে সেখানে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন প্রথম আলোর জেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। পরদিন অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে ৩ ও ৫ ধারায় মামলা করে রোজিনাকে সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। ৫ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য্য করেন আদালত।

সকালে ৩ দফা পেছানোর পর দুপুর ১টায় ভার্চুয়ালি শুরু হয় জামিন আবেদনের শুনানি। যুক্তিতর্কে উঠে আসে ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট এর ৩ ও ৫ ধারা। যেখানে বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রের স্বার্থের বিপরীতে নিষিদ্ধ স্থানের স্কেচ, ছবি ও নোট নিলে তার সর্বোচ্চ সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড। অন্যদিকে ২০১১ সালের করা হুইসেল ব্লোয়ার অ্যাক্টে বলা হয়েছে দুর্নীতি বা অনিয়মের কোন তথ্য কেউ প্রচার করলে সেই ব্যক্তি আইনি সুরক্ষা পাবেন, বদলী পদায়ন কিংবা মামলা করা যাবে না প্রচারকারির বিরুদ্ধে।

নারী ও অসুস্থ ব্যক্তি হিসেবেও তিনি জামিন পাবার যোগ্য বলে যুক্তি তুলে ধরে আসামীপক্ষ। অন্যদিকে বাদি পক্ষের আইনজীবীর দাবী নিজের কৃত অপরাধ রোজিনা নিজেই স্বীকার করেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষের কাছে থাকা ভিডিও ফুটেজে তা প্রমাণিত হবে।

মামলাটির তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় শুনানিতে রোজিনাকে কুখ্যাত ঘষেটি বেগমের সাথে তুলনা করে সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়ে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ঘন্টা দুয়েক অপেক্ষার পর রোববার যখন আদেশের দিন ঘোষণা করা হয় তখন আদালতের বাইরে থাকা রোজিনা স্বামী ও স্বজনদের চোখে মুখে ছিল হতাশা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রোজিনার জামিন শুনানির আদেশ রোববার

আপডেট সময় : ০৭:০১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১

দিনভর অপেক্ষার পর আজও জামিন হয়নি সাংবাদিক রোজিনার। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভার্চ্যুয়ালি জামিন শুনানির পরে রোববার আদেশ দেয়ার কথা জানান আদালত। আসামীপক্ষের দাবি, রোজিনা রাষ্ট্রের বিপক্ষে নয় বরং পক্ষে কাজ করেছেন এবং একজন নারী ও অসুস্থ ব্যক্তি হিসেবে জামিন পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, নিজের অপরাধ স্বীকার করে মুচলেকা দিতে চেয়েছিলেন রোজিনা। সেই ভিডিও আদালতের কাছে উপস্থাপনের পরই জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে আদালত।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা। সচিলাবালয়ে স্বাস্থ্য সচিবের একান্ত সচিবের রুমের ভেতরের দৃশ্য এটি। একটানা মানসিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে সেখানে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন প্রথম আলোর জেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। পরদিন অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে ৩ ও ৫ ধারায় মামলা করে রোজিনাকে সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। ৫ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য্য করেন আদালত।

সকালে ৩ দফা পেছানোর পর দুপুর ১টায় ভার্চুয়ালি শুরু হয় জামিন আবেদনের শুনানি। যুক্তিতর্কে উঠে আসে ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট এর ৩ ও ৫ ধারা। যেখানে বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রের স্বার্থের বিপরীতে নিষিদ্ধ স্থানের স্কেচ, ছবি ও নোট নিলে তার সর্বোচ্চ সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড। অন্যদিকে ২০১১ সালের করা হুইসেল ব্লোয়ার অ্যাক্টে বলা হয়েছে দুর্নীতি বা অনিয়মের কোন তথ্য কেউ প্রচার করলে সেই ব্যক্তি আইনি সুরক্ষা পাবেন, বদলী পদায়ন কিংবা মামলা করা যাবে না প্রচারকারির বিরুদ্ধে।

নারী ও অসুস্থ ব্যক্তি হিসেবেও তিনি জামিন পাবার যোগ্য বলে যুক্তি তুলে ধরে আসামীপক্ষ। অন্যদিকে বাদি পক্ষের আইনজীবীর দাবী নিজের কৃত অপরাধ রোজিনা নিজেই স্বীকার করেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষের কাছে থাকা ভিডিও ফুটেজে তা প্রমাণিত হবে।

মামলাটির তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় শুনানিতে রোজিনাকে কুখ্যাত ঘষেটি বেগমের সাথে তুলনা করে সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়ে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ঘন্টা দুয়েক অপেক্ষার পর রোববার যখন আদেশের দিন ঘোষণা করা হয় তখন আদালতের বাইরে থাকা রোজিনা স্বামী ও স্বজনদের চোখে মুখে ছিল হতাশা।