রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের আস্থা অর্জন আরো কঠিন হবে
- আপডেট সময় : ০১:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের আস্থা অর্জন আরো কঠিন হবে। একই সঙ্গে নিজেদের নিরাপত্ত্বা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভুমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এই একটি হত্যাকাণ্ডে। জাতীসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাকে এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাখ্যাও দিতে হতে পারে বাংলাদেশকে। নিরাপত্ত্বা বিশ্লেষক ও আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন সুরক্ষিত একটি শরনার্থি ক্যাম্পের ভেতরে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে বিদেশী কোন এজেন্সি বা সন্ত্রাসী গোষ্টির শসস্ত্র তৎপরতা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে সরকারকে।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর নৃশংসতা, তাদের অধিকার, নিরাপত্ত্বা ও প্রত্যাবাসন নিয়ে সক্রিয় ছিলেন মুহিবুল্লাহ। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও স্বীকৃতি পেয়েছিলেন রোহিঙ্গা নেতা হিসেবে। ইতোমধ্যে জাতীসংঘসহ বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় মিয়ানমারকে বাধ্য করতে বিশ্ব-জনমত গঠনেও ভুমিকা রাখছিলেন তিনি। সবশেষ এক ভিডিও বার্তায় অক্টোবরের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক ঘটনার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগ মুহুর্তে নিজেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের
শিকার হলেন মুহিবুল্লাহ।
রোহিঙ্গা গবেষকরা বলছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর দমন-পিড়নের ঘটনা চলছে প্রায় অর্ধশত বছর। তাই নিজেদের জনগোষ্ঠি ছাড়া অন্যদের বিশ্বাস করেন না তারা। সেই জায়গা থেকে মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ড এক ধরণের আস্থার সংকট তৈরী হতে পারে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে।
নিরাপত্ত্বা বিশ্লেষক মেজর এমদাদ মনে করেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো নিয়ে যতটা সতর্ক বাংলাদেশ, তার চেয়ে অনেক বেশী দৃষ্টি মিয়ানমারের। নিজেদের নিরাপত্ত্বার স্বার্থেই এই হত্যাকাণ্ডকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই সরকারের
আর গবেষক আবু নোমানের মতে, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অঙ্গনে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব করতেন মুহিবুল্লাহ। তাই এই ঘটনায় প্রত্যাবাসনের দিক থেকে হত্যাকাণ্ডের দিকে ঘুরতে পারে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চোখ। ফুটেজ-১ ও সেটাফ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ঘিরে মিয়ানমারের গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা সেদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠির তৎপরতা আছে কি না? তার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মধ্যে কেউ ইর্ষান্মিত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটালো কি না তাও খতিয়ে দেখার পরামর্শ এই দুই বিশ্লেষকের।