লক্ষ্মীপুরে খালের তীব্র ভাঙ্গনে দিশেহারা হাজারো মানুষ
- আপডেট সময় : ১২:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
- / ২০৭৩ বার পড়া হয়েছে
লক্ষ্মীপুরে রহমতখালী ও ওয়াপদা খালের তীব্র ভাঙ্গনে দিশেহারা হাজারো মানুষ। অধিকাংশই ঘর বাড়ি,ফসলিজমি তলিয়ে গেছে খালে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকির মুখে দিঘুলী থেকে মান্দারী আমিনবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ তিন কিঃমিঃ বেড়ীবাঁধ সড়কটি। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে এলাবাসী। ভাঙ্গন রোধ ও বেড়ী বাঁধ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মজুচৌধুরীরহাট থেকে চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার রহমতখালী খাল। খালের সংযোগ ওয়াপদা খালের দৈর্ঘ প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ সব খালের সঙ্গে উপকুলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের মেঘনানদীর সংযোগ থাকায় প্রকৃতিক দুর্যোগে কিংবা বন্যার পানি নিষ্কাশনের সুবিধা রয়েছে।
প্রায় ৫০ বছর আগ থেকেই এখানকার জনগনের জানমাল, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমির নিরাপত্তা সহ চলাচলে জন্য উপযোগী করে ওয়াপদাখালের প্রায় ৬ কিঃমিঃ বেড়ীবাঁধ তৈরী করা হয়। গত কয়েক বছরের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সিডর, আইলা সহ সাম্প্রতিক বন্যায় খালপাড়ের শতশত বসতবাড়ী, ধর্মিয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি তলিয়ে গেছে খালের পেটে। কিন্তু গেল ভয়াবহ বন্যায় খালপাড়ের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র চলাচলের গুরুত্বপূর্ন মাধ্যম দিঘুলী থেকে আমিন বাজারের বেড়ীবাঁধটি ভাঙ্গন দেখা দেয় মারাত্মক আকারে।
ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে একবারেই চিকন ও সরু হয়ে যাওয়ায় আশপাশের বসতিদের মাঝে দেখা দেয় চরম আতংক। বেড়ীবাঁধটি একেবারেই ব্যাবহার ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় চলাচলরত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, রোগীসহ বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের পড়তে নানা দুর্ঘটনার মুখে। বলতে গেলে সব হারিয়ে এখানকার মানুষ এখন অনেকটাই নি:স্ব। ফলে এ নিয়ে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না থাকায় তারা খালের ভাঙ্গন ও বেড়ী বাঁধ রক্ষায় ভুক্তভোগীদের সাথে নিয়ে মানববন্ধনসহ সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি নানা ভোগান্তির কথা জানান এলাকাবাসী।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বন্যায় অতিস্রোতে খালপাড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের রক্ষায় তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তবে বেড়ীবাঁধটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী বলে জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত এ কর্মকর্তা।
জানমাল ও সম্পদ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিবে এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।