লঘুচাপে উত্তাল পটুয়াখালীর কুয়াকাটা এলাকার বঙ্গোপসাগর
- আপডেট সময় : ০১:৩৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২
- / ১৫৮৪ বার পড়া হয়েছে
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। এদিকে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ বর্তমানে ভারতের ছত্রিসগড় ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্র উত্তাল হয়ে কক্সবাজার সৈকতের লাবনীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন।
বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ বর্তমানে ভারতের ছত্তীসগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর অনেক উত্তাল। গত সোমবার থেকে উপকূল এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পূর্নিমার জোয়ের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বেড়েছে।অস্বাভাবিক জোয়ারে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবশে করে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলসহ অর্ধশতাধিক গ্রাম। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে মাছধরা ট্রলারগুলোকে।
বরগুনার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে জেলার দুই ফেরিঘাট, প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। ফলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছন স্থানীয় মানুষ। জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ১৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। জোয়ারের পানি বেড়ে বরগুনা পৌর শহরের কলেজ রোড, ডিকেপি রোড, ফার্মেসি পট্টি, কসমেটিকস পট্টি ও গার্মেন্টস পট্টির রাস্তা এখন পানির নিচে।
বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে। এতে নগরীর অনেক এলাকাসহ আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। লঘুচাপ ও পূর্ণিমার আগাম প্রভাবে দু-একদিন ধরে সাগর উত্তাল। উপকূলের নদ-নদীতে আগের চেয়ে বেশি পানি প্রবেশ করেছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলার সংলগ্ন উপকূলীয় বঙ্গোপসাগর। মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় গতরাতে তিন ঘন্টা বন্ধ থাকে ফেরি চলাচল। সকাল থেকে ভোলা-লক্ষীপুর এবং ভোলা বরিশাল ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলেও পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল।
বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্র উত্তাল হয়ে কক্সবাজার সৈকতের লাবনীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানায়, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত এখনো বলবৎ রয়েছে। সকালে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ভাঙ্গনরোধে টেকসই জিওব্যাগ বসানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সাগরে লঘুচাপের কারণে পটুয়াখালীতে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। গত তিন দিনে উত্তাল বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে একাধিক মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জেলে নিখোঁজ হয়েছেন।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ তৈমুর পাশা জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় ৮ আগস্ট থেকে ভোলা, কক্সবাজার, পটুয়াখালী জেলার ৬টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড।