০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

লন্ডনের পাড়ায় সৌরশক্তি ব্যবহারের অভিনব উদ্যোগ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৭৬৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির যে কোনো বিকল্প নেই, সেটা এখন সংশয়ের ঊর্দ্ধে৷ লন্ডনের এক পাড়া নিজস্ব উদ্যোগে সৌরশক্তি ব্যবহার করে সমাধানসূত্রের এক দৃষ্টান্ত তুলে ধরছে৷

অবশেষে নতুন সোলার প্যানেল এসে গেছে৷ ফলে পথের আলোকবাতি নিজস্ব শক্তি উৎপাদন করতে পারবে৷ লন্ডনের পূর্বাংশের লিনমাউথ রোডের বাসিন্দারা প্রায় দুই বছর ধরে সেই লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন৷ তাঁরা প্রতিবেশীদেরও সেই উদ্যোগে শামিল করার চেষ্টা চালিয়েছেন৷ আজ তাঁদের স্বপ্ন সফল হতে চলেছে৷ শিল্পী হিসেবে হিলারি পাওয়েল বলেন, ‘‘কিছু একটা হতে চলেছে, জানালায় পাওয়ার স্টেশনের পোস্টার, এমন চাপ তো ছিলই৷ তাই সেই লক্ষ্য পূরণ হবার প্রথম মুহূর্ত অবশ্যই আনন্দের৷ মনও হালকা হয়৷”

চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা ড্যান এডেলস্টিন নিজেদের পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘আমরা গোটা রাস্তার জন্যই সোলার প্যানেল চেয়েছিলাম৷ কিন্তু দ্রুত বুঝলাম, যে সেটা সম্ভব হবে না৷ সবাইকে বুঝিয়ে শুরুতে রাজি করানো সত্যি কঠিন হবে৷”

শিল্পী হিসেবে হিলারি পাওয়েল ও ড্যান এডেলস্টিনের মাথায় এই আইডিয়া এসেছিল৷ প্রথমে তাঁরা গোটা পথের আলোকবাতি একটি গ্রিডের সঙ্গে সংযোগের আশা করেছিলেন৷ কিন্তু কয়েকটি বাড়ির ছাদ সোলার প্যানেল বসানোর উপযুক্ত ছিল না৷ কয়েক জন প্রতিবেশীও সেই উদ্যোগে শামিল হতে চান নি৷ তবে লিনমাউথ রোডের ২৫টি পরিবার অংশ নিয়েছিলো৷ ড্যান বলেন, ‘‘আমার মতে ব্রিটেনজুড়ে অনেক লাখ মানুষ জলবায়ু সংকট সমাধানের লক্ষ্যে অর্থ ঢালতে চায়৷ এখানকার মতো স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট সমাধানসূত্র তুলে ধরলে সাধারণ মানুষের মনে ধরে৷”

অ্যাকটিভিস্টদের মতে, জলবায়ু সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে সরকারের এমন উদ্ভাবনশীল পরিবেশ সৃষ্টির মতো উন্নয়ন প্রকল্পে মদত দেওয়া উচিত৷ ড্যান এডেলস্টিন বলেন, ‘‘আমাদের বিপুল অংকের অর্থের প্রয়োজন৷ বাসভবন, বাসা বা ব্যবসার জায়গাকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে হলে মানুষকে হয় সমান অংকের অর্থ বা ভরতুকি দিতে হবে৷”

হিলারি ও ড্যান সোলার প্যানেল বসানোর দৃশ্যের ভিডিও তুলছেন৷ সেটাই ‘সৌর সড়ক’ সৃষ্টির প্রথম পদক্ষেপ৷ তাঁদের প্রতিবেশী অ্যাঞ্জেলার আশা, সোলার প্যানেল তাঁর বিদ্যুতের বিল কমাতে সাহায্য করবে৷ তিনি বলেন, ‘‘ছাদের উপর প্যানেল সফল হলে সেটা আমাদের গ্রহের জন্য অনেক ভালো হবে৷ মানুষ তার সুফল দেখতে পারবে৷ এটা সূচনামাত্র৷ অবশ্যই বিল অনেক কমে যাবে৷”

বর্তমানে এমন সৌরশক্তিচালিত ঘরবাড়ি সেখানে বিরল দৃষ্টান্ত৷ ‘অক্টোপাস এনার্জি’ নামের ব্রিটেনের এক বড় বিদ্যুৎ কোম্পানি এ ক্ষেত্রে সহযোগী হয়ে নিজেদের পথিকৃৎ হিসেবে দাবি করছে৷ কোম্পানির প্রতিনিধি নিল উলি বলেন, ‘‘ব্রিটেনের গ্রিড সিস্টেম সবচেয়ে সেকেলে প্রণালীগুলির মধ্যে পড়ে৷ পুরোপুরি জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির উপর নির্ভরশীল৷ সন্ধ্যা ছয়টার মতো পিক টাইমে, যখন মানুষ বাসায় ফিরে রাতের খাবার রান্না করে, তখন সেই চাহিদা মেটাতে গ্রিডে কয়েকশো জেনারেটর চালাতে হয়৷ ফলে মারাত্মক মাত্রায় দূষণ ঘটে৷ সেটা খুব দামীও বটে৷”

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

লন্ডনের পাড়ায় সৌরশক্তি ব্যবহারের অভিনব উদ্যোগ

আপডেট সময় : ১১:৫৪:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির যে কোনো বিকল্প নেই, সেটা এখন সংশয়ের ঊর্দ্ধে৷ লন্ডনের এক পাড়া নিজস্ব উদ্যোগে সৌরশক্তি ব্যবহার করে সমাধানসূত্রের এক দৃষ্টান্ত তুলে ধরছে৷

অবশেষে নতুন সোলার প্যানেল এসে গেছে৷ ফলে পথের আলোকবাতি নিজস্ব শক্তি উৎপাদন করতে পারবে৷ লন্ডনের পূর্বাংশের লিনমাউথ রোডের বাসিন্দারা প্রায় দুই বছর ধরে সেই লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন৷ তাঁরা প্রতিবেশীদেরও সেই উদ্যোগে শামিল করার চেষ্টা চালিয়েছেন৷ আজ তাঁদের স্বপ্ন সফল হতে চলেছে৷ শিল্পী হিসেবে হিলারি পাওয়েল বলেন, ‘‘কিছু একটা হতে চলেছে, জানালায় পাওয়ার স্টেশনের পোস্টার, এমন চাপ তো ছিলই৷ তাই সেই লক্ষ্য পূরণ হবার প্রথম মুহূর্ত অবশ্যই আনন্দের৷ মনও হালকা হয়৷”

চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা ড্যান এডেলস্টিন নিজেদের পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘আমরা গোটা রাস্তার জন্যই সোলার প্যানেল চেয়েছিলাম৷ কিন্তু দ্রুত বুঝলাম, যে সেটা সম্ভব হবে না৷ সবাইকে বুঝিয়ে শুরুতে রাজি করানো সত্যি কঠিন হবে৷”

শিল্পী হিসেবে হিলারি পাওয়েল ও ড্যান এডেলস্টিনের মাথায় এই আইডিয়া এসেছিল৷ প্রথমে তাঁরা গোটা পথের আলোকবাতি একটি গ্রিডের সঙ্গে সংযোগের আশা করেছিলেন৷ কিন্তু কয়েকটি বাড়ির ছাদ সোলার প্যানেল বসানোর উপযুক্ত ছিল না৷ কয়েক জন প্রতিবেশীও সেই উদ্যোগে শামিল হতে চান নি৷ তবে লিনমাউথ রোডের ২৫টি পরিবার অংশ নিয়েছিলো৷ ড্যান বলেন, ‘‘আমার মতে ব্রিটেনজুড়ে অনেক লাখ মানুষ জলবায়ু সংকট সমাধানের লক্ষ্যে অর্থ ঢালতে চায়৷ এখানকার মতো স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট সমাধানসূত্র তুলে ধরলে সাধারণ মানুষের মনে ধরে৷”

অ্যাকটিভিস্টদের মতে, জলবায়ু সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে সরকারের এমন উদ্ভাবনশীল পরিবেশ সৃষ্টির মতো উন্নয়ন প্রকল্পে মদত দেওয়া উচিত৷ ড্যান এডেলস্টিন বলেন, ‘‘আমাদের বিপুল অংকের অর্থের প্রয়োজন৷ বাসভবন, বাসা বা ব্যবসার জায়গাকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে হলে মানুষকে হয় সমান অংকের অর্থ বা ভরতুকি দিতে হবে৷”

হিলারি ও ড্যান সোলার প্যানেল বসানোর দৃশ্যের ভিডিও তুলছেন৷ সেটাই ‘সৌর সড়ক’ সৃষ্টির প্রথম পদক্ষেপ৷ তাঁদের প্রতিবেশী অ্যাঞ্জেলার আশা, সোলার প্যানেল তাঁর বিদ্যুতের বিল কমাতে সাহায্য করবে৷ তিনি বলেন, ‘‘ছাদের উপর প্যানেল সফল হলে সেটা আমাদের গ্রহের জন্য অনেক ভালো হবে৷ মানুষ তার সুফল দেখতে পারবে৷ এটা সূচনামাত্র৷ অবশ্যই বিল অনেক কমে যাবে৷”

বর্তমানে এমন সৌরশক্তিচালিত ঘরবাড়ি সেখানে বিরল দৃষ্টান্ত৷ ‘অক্টোপাস এনার্জি’ নামের ব্রিটেনের এক বড় বিদ্যুৎ কোম্পানি এ ক্ষেত্রে সহযোগী হয়ে নিজেদের পথিকৃৎ হিসেবে দাবি করছে৷ কোম্পানির প্রতিনিধি নিল উলি বলেন, ‘‘ব্রিটেনের গ্রিড সিস্টেম সবচেয়ে সেকেলে প্রণালীগুলির মধ্যে পড়ে৷ পুরোপুরি জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির উপর নির্ভরশীল৷ সন্ধ্যা ছয়টার মতো পিক টাইমে, যখন মানুষ বাসায় ফিরে রাতের খাবার রান্না করে, তখন সেই চাহিদা মেটাতে গ্রিডে কয়েকশো জেনারেটর চালাতে হয়৷ ফলে মারাত্মক মাত্রায় দূষণ ঘটে৷ সেটা খুব দামীও বটে৷”