শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ৩১ শতাংশ
- আপডেট সময় : ০৪:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ৩১ শতাংশ। ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে সব স্থাপনাই। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শেষ করতে চায় কর্তৃপক্ষ। সিভিল এভিয়েশন বলছে, প্রকল্পের মোট বরাদ্দ থেকে বেচে যাওয়া টাকা দিয়ে আরো কিছু কাজ করে চায় তারা।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনাল বছরে ৮০ লাখ যাত্রীর চাপ সামলানোর সক্ষমতা রাখে । গেল বছর অন্তত ৭৬ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়া করেছে এই বিমানবন্দরের দিয়ে। করোনার ধাক্কা না এলে আরো দু’বছর আগেই সক্ষমতা হারাতো দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরটি।
এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যা বাস্তবায়িত হলে বিশ্বের আধুনিক বিমানবন্দরগুলোর সব সুবিধা থাকবে এক ছাদের নিচে। যা বাস্তবায়নে কাজ চলছে দ্রুত।
দেশের যে কোন এলাকা থেকে ট্রেনে করে কমলাপুর এসে সেখান থেকে পাতাল রেলে খিলখেতের কাওলা হয়ে সুড়ঙ্গপথে স্বয়ংক্রিয় বেল্টে চেপে যাত্রীরা পৌছে যাবে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী থেকে দীর্ঘ ২৪ কিলোমিটারের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে সরাসরি বিমানবন্দরের কার পার্কিংয়ে পৌছনো যাবে। এর বাইরে আধুনিক সুযোগ সুবিধার সবটাই থাকছে টার্মিনালের ভেতরে-বাইরে।
সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যানের দাবি, প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ ২১ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকার মধ্যে অন্তত ৭০০ কোটি টাকা বেচে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। যা দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য আরো কিছু কাজ করিয়ে নিতে চায় তারা।
শুধু একটি পূর্ণাঙ্গ টার্মিনালই নয়। পাশাপাশি দুটি হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ে, আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য পরিচালনায় দুটি আলাদা ভবন ও সেড তৈরী করা হচ্ছে। এছাড়া একসঙ্গে তিন হাজার গাড়ি পার্কিং করার জন্য তিন তলা বিশিষ্ট কার পার্কিং সেডও তৈরী করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে চলছে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ।