সামাজিক সচেতনতার অভাবে চট্টগ্রামে বাড়ছে নৃশংস হত্যাকাণ্ড
- আপডেট সময় : ০১:৫৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৮১৩ বার পড়া হয়েছে
একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। হত্যার পর মরদেহ টুকরো করে নগরজুড়ে ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি হাড় থেকে মাংস আলাদা করে আলামত গায়েবের চাঞ্চল্যকর ঘটনাও ঘটছে। পুলিশ বলছে, হত্যার রহস্য উম্মোচন ও আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হলেও, সামাজিক সচেতনতার অভাবে ঠেকানো যাচ্ছে না নৃশংসতা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, বিচার বিভাগের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয় ঘটিয়ে বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে সুফল আসবে না। পাশাপাশি সামাজিক ইউনিট সক্রিয়র ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে।
ক’দিন আগে মুরগীর খাবার চুরি করে বিক্রি করার ঘটনা নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাউজানে কলেজ ছাত্র ও খামারের ম্যানেজার শিবলী সাদিককে হত্যার পর হাড় থেকে মাংস ছাড়িয়ে দুর্গম পাহাড়ে ছড়িয়ে দেয় অধিনস্ত কর্মচারিরা।
একই সময়ে পতেঙ্গা এলাকায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্ত্রী, দুই সন্তার ও পুত্রবধু মিলে হাসান নামের মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তিকে হত্যার পর মরদেহ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেয় নগরজুড়ে। মরদেহের ৯টি অংশ উদ্ধার হলেও মাথা মেলেনি এখনো। চাঞ্চল্যকর এই হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অকপটে বর্ণনা দেন নৃশংসতার।
এক বছরে এমন বেশ কয়েকটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামে। পুলিশ বলছে, হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দিতেই নৃশংসতায় মাতে অপরাধিরা। তবে প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সচেষ্ট পুলিশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যত দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে, বিচারের দৃষ্টান্ত ততো দ্রুত হচ্ছে না। এর পাশাপাশি ভিনদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনও নৃশংসতা উস্কে দেয়।
কমিউনিটি ও বিট পুলিশিংয়ের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সক্রিয় করে জনসচেতনতা বাড়াতে না পারলে, সুফল আসবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।