শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলা চলতে আর কোন বাধা নেই
- আপডেট সময় : ০৫:২২:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় করা মামলা বাতিল প্রশ্নে রুল খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে বিচারিক আদালতে এই মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বায়ু দূষণ রোধসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে উচ্চ আদালত।
একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিত স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
২০১৫ সালে ওই হামলার ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলায় এক আসামি রকিবের বয়স, হামলার ঘটনার সময় ১০ বছর ছিল উল্লেখ করে, হাইকোর্টে মামলা বাতিলে আবেদন করা হয়। গেল ২২ অক্টোবর ৯০ দিনের মধ্যে আলোচিত ওই মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি করতে চায় সরকার। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে রুল জারির পাশাপাশি একাত্তরের স্মৃতি বিজড়িত অস্ত্রগুলো বিক্রির উপর নিষধাজ্ঞা জারি করে আদালত।
সালিশ করে ৮৫ বছরের বৃদ্ধকে দোররা মেরে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিয়ে দেয়া ঘটনায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের ওই ঘটনায় তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিসি, এসপি, এবং ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। আগামী রোববার এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশও দেয় আদালত।
ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো কি পদক্ষেপ নিয়েছে ? তা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জানাবার নির্দেশও দেয় হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ কি- আমৃত্যু কারাবাস নাকি ৩০ বছরের কারাদণ্ড, এ বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামী ১ ডিসেম্বর।