০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সংকট মোকাবিলার ব্যর্থতায় বন্ধ ১৭২ গার্মেন্টস

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১৬১৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নানামুখী প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পেরে বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ১৭২ গার্মেন্ট কারখানা এক বছরে বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়েছে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করা আরও কয়েকশো প্রতিষ্ঠান। বিজিএমইএ নেতারা বলছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে, শ্রমঘন এই শিল্পে ভয়াবহ সংকট তৈরী হবে। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাব যেভাবে মোকাবিলা করা উচিত, তা করতে পারছে না সরকার। ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জাতীয় অর্থনীতিতে।

গেলো বছরের শুরু থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত শুধু অগাস্ট ও নভেম্বর মাসে রপ্তানী হয়েছে সন্তোষজনক। এই দুই মাসে আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় রপ্তানী প্রবৃদ্ধি ছিলো ৩৬ দশমিক ০৪ ও ৩৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ছিলো সেপ্টেম্বরে; মাইনাস ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। ডিসেম্বর জানুয়ারিতে কিছুটা বাড়লেও তা লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও যেতে পারেনি।

তৈরী পোষাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, গেলো বছরের শুরু থেকেই যুদ্ধের প্রভাবে বিপর্যয় নেমেছে রপ্তানী খাতে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, রপ্তানী আদেশ কমার পাশাপাশি দেশের বাজারে মুদ্রাস্ফীতি ও ইউটিলিটি সার্ভিসের চার্জ বৃদ্ধির কারণে আশংকাজনকভাবে ব্যয় বাড়ছে। এর ওপর এবছরই নতুন মজুরি কাঠামো প্রণয়নের তাগিদ আছে। এই বাস্তবাতায় গার্মেন্টস খাতের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় রপ্তানী নির্ভর প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে যে পরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন, তা নিতে পারেনি সরকার। ফলে সংকট ঘনিভুত হচ্ছে আর অতঙ্ক ছড়িয়েছে রপ্তানী খাতে।

সংকট মোকাবিলা করতে না পেরে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বিজিএমইএর সদস্য ১৭২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এর বাইরে সাবকন্ট্রাক্টে কাজ করা আরো কয়েকশো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সংকট মোকাবিলার ব্যর্থতায় বন্ধ ১৭২ গার্মেন্টস

আপডেট সময় : ০৩:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নানামুখী প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পেরে বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ১৭২ গার্মেন্ট কারখানা এক বছরে বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়েছে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করা আরও কয়েকশো প্রতিষ্ঠান। বিজিএমইএ নেতারা বলছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে, শ্রমঘন এই শিল্পে ভয়াবহ সংকট তৈরী হবে। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাব যেভাবে মোকাবিলা করা উচিত, তা করতে পারছে না সরকার। ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জাতীয় অর্থনীতিতে।

গেলো বছরের শুরু থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত শুধু অগাস্ট ও নভেম্বর মাসে রপ্তানী হয়েছে সন্তোষজনক। এই দুই মাসে আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় রপ্তানী প্রবৃদ্ধি ছিলো ৩৬ দশমিক ০৪ ও ৩৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ছিলো সেপ্টেম্বরে; মাইনাস ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। ডিসেম্বর জানুয়ারিতে কিছুটা বাড়লেও তা লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও যেতে পারেনি।

তৈরী পোষাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, গেলো বছরের শুরু থেকেই যুদ্ধের প্রভাবে বিপর্যয় নেমেছে রপ্তানী খাতে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, রপ্তানী আদেশ কমার পাশাপাশি দেশের বাজারে মুদ্রাস্ফীতি ও ইউটিলিটি সার্ভিসের চার্জ বৃদ্ধির কারণে আশংকাজনকভাবে ব্যয় বাড়ছে। এর ওপর এবছরই নতুন মজুরি কাঠামো প্রণয়নের তাগিদ আছে। এই বাস্তবাতায় গার্মেন্টস খাতের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় রপ্তানী নির্ভর প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে যে পরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন, তা নিতে পারেনি সরকার। ফলে সংকট ঘনিভুত হচ্ছে আর অতঙ্ক ছড়িয়েছে রপ্তানী খাতে।

সংকট মোকাবিলা করতে না পেরে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বিজিএমইএর সদস্য ১৭২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এর বাইরে সাবকন্ট্রাক্টে কাজ করা আরো কয়েকশো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে।