সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সারাদেশে অবিরাম বৃষ্টি
- আপডেট সময় : ০৫:২৫:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৬৭ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাব কেটে গেলেও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সারা দেশের প্রায় সব জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত। ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে সরে গিয়ে নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। আগামীকাল থেকে বৃষ্টির এতো তোড়জোড় থাকবে না বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
কক্সবাজারসহ বাকী তিন সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। গভীর সাগরের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আর বৈরী আবহওয়ায় অল্প সংখ্যক পর্যটক রয়েছে কক্সবাজারে। তাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফ গার্ড ও সৈকতের কর্মীরা ।
সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগরের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি ১ থেকে ২ ফুটের অধিক উচ্চতায় উঠে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে শত শত বিঘা মৎস্য ঘের। অবিরাম বৃষ্টিতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ঝুঁকিতে রয়েছে জরাজীর্ণ ৩৫টি পয়েন্টে প্রায় ৬২ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ। বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আড়াই হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছেন।
ভারী বৃষ্টিপাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পটুয়াখালীরর শ্রমজীবীরা। পূর্ণিমা ও জোয়ারে নদ-নদীর পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বেড়ে গেছে। ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হচ্ছে জেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, পুকুর ও আমন ক্ষেত।
টানা বৃষ্টি ও জোয়ারে পদ্মা নদীর পানি বেড়ে শরীয়তপুরে বইছে বিপদসীমার ওপরে। তবে কোনো গ্রাম প্লাবিত হয়নি। এদিকে, হঠাৎ করে সাগর উত্তাল থাকায় এবং নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে দীর্ঘদিন পর ইলিশের দেখা মিলেছে। জালে ধরা দিচ্ছে প্রচুর ইলিশ।
নিম্নচাপে নড়াইলে গত তিনদিনের বর্ষণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। ভারি বর্ষণে পৌরসভার অন্তত দুই শতাধিক পরিবার এখন পানিবন্দী।
কুষ্টিয়ায় ৯০ দশমিক ০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তলিয়ে গেছে হাসপাতালের প্রধান গেট সংলগ্ন রাস্তা।
বৃহস্পতিবার থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর