সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২৫০ টাকা বিক্রি
- আপডেট সময় : ০২:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ২১৭৯ বার পড়া হয়েছে
সব রেকর্ড ছাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগী। এক মাসের ব্যবধানে ১০০ টাকা বেড়েছে এর দাম। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও অনেক পোল্ট্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুরগি ও ডিমের সংকট নতুন করে দেখা দিয়েছে। উচ্চমূল্যেই স্থিতিশীল চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও সয়াবিনসহ অন্য নিত্যপণ্যের দাম। চিনির বাজারে সংকট এখনো আছে। শীতের সবজি নাগালের মধ্যে এলেও কাঁচামরিচের ঝাঁজ অনেক। বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে প্রতিদিন খাদ্য তালিকা থেকে ছাঁটতে হচ্ছে আমিষ জাতীয় খাবার।
অর্থনৈতিক অস্থিরতা ইতোমধ্যে রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। রমজানের আগেই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। লাফিয়ে লাফিয়ে প্রতিদিনেই দাম বাড়ছে সবধরনের ভোগ্যপণ্যের, সরবরাহ উৎপাদন ও পরিবহন খরচসহ নানা অজুহাত ব্যবসায়ীদের।
কয়েক সপ্তাহ ধরে দাম বাড়তে বাড়তে কেজিতে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা কিনতে হচ্ছে বিদেশি জাতের এই মুরগী। গেলো সপ্তাহে যা ছিল.. ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩২০ টাকায় আর লেয়ার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকা। এছাড়া গরু ও খাসির মাংস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
ভক্সপপ
এদিকে সরবরাহ কম রমজানের পণ্যের। বাজারে দেখা নেই চিনির। সয়াবিন তেলের সরবারাহ আগের চেয়ে কমে গেছে। কেজি প্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ছোলার দাম।
রোজা আসতে বাকি এখনো এক মাসের বেশি সময়। এরই মধ্যে চড়া মসলার বাজার। কোনো কোনো গরম মসলার দাম বেড়ে দ্বিগুণ। বেশিরভাগ মশলা আমদানী করতে হয় বিধায় আন্তর্জাতিক বাজার ও ডলারের দামকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, কাঁচা মরিচের ঝাল বাড়লেও সবজির বাজারে রয়েছে কিছুটা স্বস্তি। উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল এই বাজার। তবে চালের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে।
ক্রেতারা বলছেন চাপ সামাল দিতে অনেকেই প্রতিদিন তালিকা থেকে আমিষ জাতীয় খাদ্য কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারের তদারকির ঘাটতি আছে বলেও অভিযোগ তাদের।