সরকারি হাসপাতালে বসেই বেসরকারি চেম্বারে রোগী পাঠানোর অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৬:৪৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি হাসপাতালে বসেই বেসরকারি চেম্বারে রোগী পাঠাচ্ছেন চিকিৎসকরা। চক্ষু বিভাগ থেকে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে দেয়া হচ্ছে পরীক্ষা। পাঠানো হচ্ছে চিকিৎসকের পছন্দের নির্দিষ্ট ডায়াগোনেষ্টিক সেন্টারে। বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করার জন্য মুঠোফোন নাম্বারসহ ভিজিটিং কার্ডও দেয়া হচ্ছে। জেলা সিভিল সার্জন বলেছেন, নজরদারি চলমান রয়েছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাসপাতালে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পদটিশূন্য। বর্তমানে দুজন চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে চোখের রোগীদের শুধুমাত্র দৃষ্টি ও চশমা পরীক্ষার সেবা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একজন প্রশিক্ষণে থাকায় বর্তমানে সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম। এসএটিভির কাছে খবর আসে সেখানে বসে তিনি হাসপাতালের বিপরীতে অবস্থিত আইকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে রোগী পাঠান। সত্যতা যাচাইয়ে পরপর দুইদিন হাসপাতালে অবস্খান নেয় এসটিভির ক্যামেরা। এতেই ধরা পরে রোগী বাগানোর বিষয়টি। অধিকাংশ রোগীকেই দেয়া হচ্ছে, অটো রিফ্লেকশন নামের একটি পরীক্ষা। মৌখিকভাবে বলে দেয়া হচ্ছে আইকনের নামও ঠিকানা।
হাসপাতালের অটো রিফ্লেক্টর যন্ত্রটি নষ্ট উল্লেখ করে প্রথমে ওই প্রতিষ্ঠানে রোগী পাঠানোর কথা অস্বীকার করেন এই চিকিৎসক। কিন্তু এরপরই আবার স্বীকার করে বলেন, কাছাকাছি থাকায় রোগীদের সুবিধার জন্যই সেখানে পাঠানো হয়।
বেলা ২.২০ মিনিটে আইকন অপটিক্যাল এন্ড চক্ষু সেন্টারে গিয়ে দেখা যায় ডাঃ সফিক নিজেই সেখানে রোগী দেখছেন। চক্ষু বিশেষজ্ঞ না হয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চোখের রোগী কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে, মনগড়া উত্তর দেন তিনি।
এদিকে, একই অবস্থা হাসপাতালের অন্য বিভাগেও । আবাসিক সার্জন ডা. কে এম ফয়সল আল আহসান বিরুদ্ধে কক্ষে বসে বেসরকারি হাসপাতালের কার্ড বিতরণের অভিযোগ করেন এক ভুক্তভোগী।
অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলার হুমকি দেন এই চিকিৎসক।
তবে, ডা. ফয়সালের কার্ডের সাথে দেয়া মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে ট্রু কলারে “রিমন হসপিটাল” লিখা দেখায়। পরীক্ষা করানোর প্রস্তাব দিলে ওই নাম্বার থেকে ডা. ফয়সালের ৩১২ নাম্বার রুমে গিয়ে দেখা করতে বলা হয়। (মোবাইল ফোনের রেকর্ড দেয়া আছে।)
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্বাধায়ক অভিযোগ তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দেন ।
কোন অনিয়ম করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
সরকারী হাসপাতালে অনিয়মকারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সচেতন মহলের।