সরকারের নির্দেশনার পরও শ্রমিক সংকটে খুলছে না রাজধানীর হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বেকারী
- আপডেট সময় : ০৮:২১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০
- / ১৫৭০ বার পড়া হয়েছে
সরকারের নির্দেশনার পরও শ্রমিক সংকটে খুলছে না রাজধানীর হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বেকারী। রাজধানীর প্রায় ৮ হাজার হোটেল-রোস্তোরাঁর অধিকাংশই এখনো বন্ধ রয়েছে। মালিকরা বলছেন, একদিকে শ্রমিক সংকট অন্যদিকে ক্রেতা না পাওয়ায় বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন এসব প্রতিষ্ঠান । শুরুতে এসব হোটেল খোলা থাকলেও প্রশাসনের নিদের্শনায় বাধ্য হয়েই শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে বন্ধ রাখতে হয়। কিন্তু বর্তমানে শ্রমিক সংকটের কারণে চালু করতে পারছেন না। স্বল্প পরিসরে কিছু চালু করলেও ক্রেতা না থাকায় লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।
করোনা ভাইরাস ঠেকাতে সরকার ১০ দিনের ছুটি ঘোষণার পর বন্ধ হয়ে যায় রাজধানীর সব হোটেল রেস্তোরাঁ। এতে বিপাকে পড়ে রাজধানীর মেস ও বাসাবাড়িতে রান্নার ব্যবস্থা না থাকা মানুষজন। পাশাপাশি জরুরি দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সেবাকর্মীরা পড়েন ভোগান্তিতে।
এ অবস্থায় হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলতে নির্দেশনা দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এর দু’দিন কেটে গেলেও এখনো বন্ধ রয়েছে রাজধানীর অধিকাংশ হোটেল-বেকারি। মালিকরা জানান, এ সব হোটেল-বেকারিতে কর্মরত প্রায় আড়াই লাখ শ্রমিকের অধিকাংশই ছুটিতে এখন গ্রামে। তাই ইচ্ছা থাকলেও শ্রমিক সংকটে হোটেল খুলতে পারছেন না তারা।
তবে রাজধানীতে যে দুয়েকটি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বেকারী খোলা থাকলেও মিলছে না ক্রেতা। এতে প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
তবে করোনা পরিস্থিতি’র মধ্যেও জরুরি প্রয়োজনে যাদের বাইরে দায়িত্ব পালন করতে হয়, তারা পড়েছেন বিপাকে ।
করোনা ঝুঁকিতে দেশের বেশিরভাগ এলাকা লকডাউন থাকায় ছুটিতে থাকা শ্রমিকরা ফিরতে না পারছে না। এ কারণে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান হোটেল-রেস্তোঁরা মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন।
তবে অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এই দুর্যোগে নগরবাসীর পাশে থাকতে সীমিত আকারে কিছু হোটেল-রেস্টুরেন্ট চালু রাখার কথাও জানান খন্দকার রুহুল আমিন।