বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের বিধান রেখে সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল পাস
- আপডেট সময় : ১০:২৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৭৯৩ বার পড়া হয়েছে
বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার, সর্বোচ্চ শাস্তি কোটি টাকা জরিমানা ও ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে, সংসদে বিরোধী দলের বিরোধীতার মুখে পাস হলো ‘সাইবার নিরাপত্তা বিল’ ২০২৩। তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রস্তাবে বিলটি কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। এছাড়া আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রস্তাবে সংসদে পাস হলো সংরক্ষিত মহিলা আসন নির্বাচন সংশোধন বিল-২০২৩ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রস্তাবে জাতীয় পরিচয় পত্র বিল-২০২৩।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৪ টায় শুরু হয় সংসদের অধিবেশন। দিনের কার্যাবলীর আইন প্রণয়ন পর্বে প্রথমে সংরক্ষিত মহিলা আসন নির্বাচন বিল-২০২৩ বিবেচনার জন্য প্রস্তাব করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিরোধী দলের সদস্যরা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব করেন। তাতে আপত্তি জানান আইনমন্ত্রী।
পরে, বিরোধী সদস্যদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচের পর আইনমন্ত্রীর প্রস্তাবে বিলটি পাস হয়। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রস্তাবে সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩ বিবেচনার জন্য সংসদে উপস্থাপিত হয়।
বিলের কয়েকটি ধারায় আপত্তি তোলেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। তারা বিলটিতে সংযোজন-বিয়োজনসহ জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবের বিরোধীতা করে, বিলটির স্বপক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী জুনায়েত আহমেদ পলক।
প্রস্তাবগুলো কন্ঠ ভোটে নাকচ হওয়ার পর, বিরোধী দলের সদস্যদের বিরোধীতার মুখে প্রতিমন্ত্রীর প্রস্তাবে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে, সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩ কণ্ঠভোটে পাস হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালে প্রস্তাব জাতীয় পরিচয় পত্র বিল-২০২৩ বিবেচনার জন্য সংসদে উপস্থাপিত হয়।
বিলটিতে আপত্তি জানান বিরোধী দলের সদস্যরা। তারা বিলটির জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর দাবি করেন। তবে তার বিরোধীতা করে বিলটির পক্ষে বক্ত দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে কন্ঠ ভোটে জাতীয় পরিচয় পত্র বিল -২০২৩ সংসদে পাস হয়।