সাকিবের বরিশালের প্রথম জয় রংপুরকে হারিয়ে
- আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
- / ১৮১৬ বার পড়া হয়েছে
বিপিএল এবারের আসরে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। ১৫৯ রান তাড়া করতে নেমে ইব্রাহিম জাদরান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে সাকিবের বরিশাল।
আজ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে রংপুর, নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে তারা। জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সাকিবের বরিশাল।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন আফগান ব্যাটসম্যান ইব্রাহিম জাদরান। ৪১ বলের ইনিংসে তার সংগৃহিত ৫ চারের সঙ্গে ছিল ২টি ছক্কার মার। ২৯ বল মোকাবিলায় ৪৩ রান করেন মিরাজ। তার ব্যাট থেকে আসে ৫টি চার। রংপুরের হয়ে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন সিকান্দার রাজা।
গত আসরের রানার্সআপ বরিশাল নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ তুলেও সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে হেরেছিল ৬ উইকেটের ব্যবধানে। যেকারণে দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিতে ভুল করেননি বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
রংপুরের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও শেখ মেহেদী হাসান। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় এই জুটি। বল হাতে নেমে প্রথমেই নাঈমকে আউট করেন সাকিব। ঘূর্ণির বাঁকে পড়েছিলেন এই ওপেনার। তাতে ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয়ের হাতে।
২.২ ওভারে আরেক ওপেনার শেখ মেহেদী হাসানকে ফেরত পাঠান এবাদত। আর ৪.৪ ওভারে রংপুরের ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজাকে বোল্ড করেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। তাতে ৪১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর। দলকে চাপ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন রনি তালুকদার। তবে বরিশালের ডি সিলভা বেশি এগুতে দেননি রনিকে। ৮.৩ ওভারে দলীয় ৭৬ রানে রনিকে বোল্ড করেন সিলভা। ২৮ বলে ৫ চার ও এক ছয়ের সাহায্যে ৪০ রান করেন রংপুর রাইডার্সের এই ব্যাটসম্যান।
আজ ব্যর্থ হয়েছেন রংপুরের অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। ১২ বলে ১২ করা সোহানকে শিকার বানিয়েছেন মিরাজ। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন বেনি হাওয়েল ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তবে দলটির হাল ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন শোয়েব মালিক। তিনি করেছেন ৩৬ বলে অপরাজিত ৫৪ রান। শেষদিকে মালিককে সঙ্গ দিয়েছেন রবিউল হক। তিনি করেন ১৫ বলে ১৮ রান। আর মালিক-রবিউল জুটিতে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৪১ রান। তাতে ভর করে বরিশালকে ১৫৯ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ডি সিলভা ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চতুরাঙ্গা ডি সিলভার উইকেট হারায় বরিশাল। এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন এনামুল হক বিজয়। সিকান্দার রাজাদের প্রথম আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউতে সিদ্ধান্ত যায় রংপুরের পক্ষে। বিজয় অবশ্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন এডিআরএস প্রযুক্তির নেয়া সিদ্ধান্তের বিপরীতে। ১১ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৫ রান করেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঝড়ো ইনিংসে রংপুরের বোলারদের নাস্তানাবুদ করে তোলেন ইব্রাহিম জাদরান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্রিজে ঝড় তুলে তারা দলকে এনে দেন ৮৪ রান। তাতে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় বরিশালের বিজয়। মিরাজ ৪৩ রান করে মাঠ ছাড়লেও জাদরান সাজঘরে ফেরেন হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এদিন আর ব্যাটিংয়ে নামেননি দলের দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বরিশালের হয়ে বাকি দায়িত্বটা সামলে নেন ইফতিখার আহমেদ ও করিম জানাত। ইফতিখার ১৮ বলে ২৫ ও করিম ১৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বরিশাল তাবুতে চলছে জয়োল্লাস।