সাতক্ষীরায় জমে উঠেছে তিনশ’ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন মেলা প্রাঙ্গণে। ছোট-বড় সব বয়সের পদচারণায় এই মেলা পরিণত হয়েছে এক মিলন মেলায়। ক্রেতাদের অভিযোগ মেলায় অতিরিক্ত দরে বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের পণ্য সামগ্রী। এসব পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ দর্শনার্থীরা।

বাংলাবর্ষের ভাদ্র মাসের শেষদিনে মনসা পূজার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় শুরু হয় এই ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা। মেলা উপলক্ষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ককে সাজানো হয়েছে নান্দনিক রূপে। এ পার্কের পুরো জায়গা জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন খাতের তিন শতাধিক স্টল। সাংসারিক ব্যবহারের জিনিসপত্র থেকে শুরু করে মেয়েদের পোশাক, অলংকার, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা সাজিয়েছেন দোকানীরা। কেনাকাটার পাশাপাশি মেলা উপভোগের জন্য রয়েছে নাগরদোলা, নৌকা ও ট্রেন।

প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। এদিকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মেলায় আগত ক্রেতাদের অভিযোগ– অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের ও নকল পণ্য সামগ্রী। এসব পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

মেলায় সার্বিক নিরাপত্তা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার….
ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা ২০ দিন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানান, জেলা প্রশাসক। সাতক্ষীরার ঐতিহ্য ও বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে গুড়পুকুরের মেলা। শুধু শহীদ রাজ্জাক পার্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে-মেলা যাতে আগের ঐতিহ্য ফিরে পায়- সেই উদ্যোগ নেয়ার দাবি সাতক্ষীরাবাসীর।