সাবেক মেয়র নাছির উদ্দিনের নেয়া সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের কঠোর সমালোচনা করলেন বর্তমান প্রশাসক খোরশেদ
- আপডেট সময় : ০১:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের নেয়া সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের কঠোর সমালোচনা করলেন বর্তমান প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আলোচিত এসব প্রকল্পে কর্পোরেশনের স্বার্থ জলাঞ্জলী দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ চাসিক প্রশাসকের। আর নগরবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, আরেকটু সচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে পারলে সারাদেশের মডেল হতে পারতো প্রকল্পটি। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি সাবেক মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধিন প্রায় আড়াই একর আয়তনের এই বিপ্লব উদ্যানটি লিজ নিয়েছে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষের হাটাচলা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি এলাকাটির সৌন্দর্য বর্ধন ও রক্ষণাবেক্ষণ করবেন ইজারাদার নিজে। এরওপর সিটি কর্পোরেশনের কোষাগারে বছরে এক লাখ টাকা জমাও দেবেন তিনি। বিনিময়ে একপাশে প্রতিটি দেড়শো স্কয়ার ফিটের ২৫ টি দোকান পাবেন তিনি। কিন্তু চুক্তির বাইরে আরো কিছু দোকান তৈরীসহ বেশ কিছু স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। সাম্প্রতি যা ভেঙে দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।
সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের আমলে নগরজুড়ে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে নেয়া এমন অসংখ্য প্রকল্পে শর্তভঙ্গসহ কর্পোরেশনের স্বার্থ রক্ষিত না হওয়ার অভিযোগ চসিক প্রশাসকের। যাত্রী ছাওনির এক কোনায় ছোট্ট দোকান করার কথা থাকলেও পুরো ছাউনিটিই ব্যাবহৃত হচ্ছে দোকানের কাজে। কোথাও আবার ফুটপাত দখল করে তৈরী করা হয়েছে দোকান। রোড ডিভাইডারে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিলবোর্ডের আড়ালে ঢাকা পড়েছে সবুজ। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে সৌন্দর্যহানী হয়েছে নগরীর।
নগরবিদরা এসএ টিভিকে বলেন, এক এক এলাকার সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করেছে আলাদা আলাদা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। তাই কোথাও কোথাও দৃষ্টিনন্দন হলেও দৃষ্টিকটুও হয়েছে অনেক জায়গায়। অথচ একটু পরিকল্পিতভাবে করতে পারলে বিনিয়োগছাড়া সৌন্দর্যবর্ধনের এই প্রকল্প মডেল হতে পারতো সারাদেশের। এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন। ফুটেজ-৩