সামরিক বিমানে মালদ্বীপে পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া
- আপডেট সময় : ০১:১৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২
- / ১৫৫৭ বার পড়া হয়েছে
অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে সামরিক বিমানে করে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। স্থানীয় সময় ভোর প্রায় ৩টায় মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে পৌঁছান ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া। রাজাপাকসের পালিয়ে যাওয়ার মধ্যদিয়ে পারিবারটির কয়েক দশক ধরে শ্রীলঙ্কা শাসনের অবসান ঘটেছে। ৯ জুলাই আন্দোলনকারীরা বাসভবনে হামলার পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমা সিংহে দেশ জুড়ে জরুরী অবস্থা জারি করেছেন।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় কলম্বোর হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। জড়ো হন সচিবালয়ে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থলে হাজার প্রতিবাদস্থল পরিচিত গল ফেস গ্রিন-এ। অস্থায়ী মঞ্চে সাধারণ মানুষের বিজয় উৎসব।
দেশটিইর অর্থনৈতিক সংকটে গত চারমাস ধরে চলছে দফায় দফায় বিক্ষোভ। এখন বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানী শূণ্য দেশটিতে মানুষ নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে মরিয়া। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, পলায়ন, নতুন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা গ্রহণ, প্রেসিডেন্টের পালিয়ে যাওয়া এবং ক্ষমতা ছাড়া সব কিছু দিয়েও দমানো যাচ্ছে না জনরোষ।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে সামরিক বিমানে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে মালদ্বীপ পালিয়ে গেছেন বলে জানান দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা। ৭৩ বছর বয়সি গোটাবায়া, তাঁর স্ত্রী ও এক দেহরক্ষীসহ চার যাত্রী নিয়ে সামরিক বিমান অ্যান্তোনভ–৩২ মঙ্গলবার মধ্যরাতে বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালদ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা করে।এর আগে আকাশপথে বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্মকর্তারা গোটাবায়ার পাসপোর্টে সিল মারতে রাজি না হয়নি।
৯ জুলাই আন্দোলনকারীরা বাসভবনে হামলার পর আত্মগোপনে ছিলেন গোতাবায়ে। রাজাপাকসের পালিয়ে যাওয়ার মধ্যদিয়ে পারিবারটির কয়েক দশক ধরে শ্রীলঙ্কা শাসনের অবসান ঘটেছে।
সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কা জুড়ে চলছে জরুরি অবস্থা। গোতাবায়ে পালিয়ে যাওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমা সিংহে। সবাইকে আইনশৃংখলা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
কি করে অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসা যায় সে পথে না গিয়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করছেন লঙ্কান শাসকরা।