সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব- বড়দিন
- আপডেট সময় : ০৬:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ২৪৬৪ বার পড়া হয়েছে
ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব- বড়দিন। উৎসবকে ঘিরে গির্জাগুলো সেজেছে নতুন রূপে। আলোকসজ্জার পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে বানানো হয়েছে বর্ণিল ক্রিসমাস ট্রি। প্রার্থনায় দেশবাসী ও বিশ্বের সব মানুষের মঙ্গল কামনা করেছেন যিশুভক্তরা।
চট্টগ্রামে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন ও শুভ বড়দিনে উৎসবের রং লেগেছে নগর ও জেলার খ্রিষ্টপল্লী ও চার্জগুলোতে। ২৫ ডিসেম্বর রাতের প্রথম প্রহরে বাংলা ও ইংরেজিতে দুই দফা বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বড়দিনের উৎসবের শুরু হয় নগরের পাথরঘাটা পবিত্র জপমালা রানীর গির্জায়।প্রার্থনায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। বরিশাল নগরীর গীর্জাগুলোতে আলোকসজ্জা ও উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। গতরাত ৯ টার দিকে শুরু হয় মধ্যরাত্রির মহা খ্রিষ্টযোগ। এতে অংশ নিতে সন্ধ্যার পর থেকেই গির্জায় সমবেত হন ভক্তরা। ময়মনসিংহে সকাল ৯টা থেকে সব বয়সের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা নগরীর ভাটিকাশর এলাকার ক্যাথেড্রাল গীর্জা হাউসে একত্রিত হতে থাকে। বড়দিনে দেশবাসীর শান্তি ও মঙ্গল কামনায় প্রার্ধনা পরিচালনা করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহের ধর্মগুরু বিশপ পল পনেন কুবি।
খুলনায় নগরীর খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০টি বাড়িতে খ্রীস্টমাস ট্রি স্থাপন করা হয়। সকালে আরাধনার পর শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দিনটির আনুষ্ঠানিকতা রাজশাহীতে বড়দিনের অনুষ্ঠানে উত্তম মেষপালক গীর্জার বিশপ জেলোয়াস রোজারিও বলেন, “ফিলিস্তিনে যুদ্ধ, সংঘর্ষ ও মৃত্যু দ্রুত বন্ধ করুন,শান্তি ফিরে আনুন পবিত্র ভূমি জেরুজালেমে। সকালে বড়দিনের গান দিয়ে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় এই গীর্জায় শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। পরে প্রার্থনায় নিজ নিজ ধর্মের মূল দীক্ষায় অবস্থান করে বিশ্বশান্তি কামনা করা হয়।
মেহেরপুরে রাত থেকেই গীর্জাগুলোতে চলছে প্রার্থণা। সকাল থেকে মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়ায় শতবর্ষীয় চার্চে শুরু হয়েছে বড়দিনের মূল প্রার্থণা। গাজীপুরে প্রার্থনা সঙ্গীত, সমবেত প্রার্থনাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন উদযাপিত রাজবাড়ীতে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিন উদযাপন করা হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার চার্চে কেঁক উপহার নিয়ে আসেন।
জামালপুরে সকালে শহরের কলেজ মোড়ে হলি ব্যাপ্টিস্ট চার্চে কেক কেটে যিশু খ্রীষ্টের জন্মদিন পালন করা হয়। এ সময় দেশ ও বিশ্ব শান্তি মঙ্গল কামনায় বাইবেল পাঠ ও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।ঝিনাইদহে সকালে কালীগঞ্জ উপজেলার ব্যাপিষ্ট চার্চে প্রার্থনার মধ্যদিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। পরে পবিত্র বাইবেল থেকে আলোচনা ও প্রার্থনা করা হয়। পরে কেক কেটে ও বড় দিনের অনুষ্ঠান পালন করা হয়। নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলাসহ বিভিন্ন উপজেলার গীর্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে।
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে খৃষ্টান পাল্লী সাধবী আঞ্জেলা কাথলিক হোমে সমবেত প্রার্থনা ও প্রচলিত রীতিনীতির মধ্যদিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়। বেনাপোল শার্শা কেক কেটে, বাইবেল থেকে পাঠ করে ও মানুষের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুভ বড়দিন উদযাপন করেছেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। নাটোরে বড়দিন উপলক্ষে বর্নিল সাজে সাজানো হয়েছে জেলার বৃহত্তর খ্রিস্টান ধর্মপল্লী নাটোরের বনপাড়ার লুর্দের রানী মা মারীয়া ক্যাথলিক চার্চ। এছাড়া অন্যান্য গীর্জা ও বাড়ির প্রাঙ্গণে আল্পনা এঁকে, গোসালা বানিয়ে এবং ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে যিশুখ্রিস্টের আগমনকে নতুন করে স্বাগত জানাচ্ছে খ্রিস্টভক্তরা। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গীর্জায় গীর্জায় প্রার্থনা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা করা হয়। পরে বাইবেল পাঠ এবং যিশু খ্রিষ্টের জীবনী সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়।