সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত রাখতে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৮:০৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
- / ১৭৮৪ বার পড়া হয়েছে
দেশের সার্বভৌমত্ব যেনো সুরক্ষিত থাকে সেভাবেই সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্বে মাথা উচু করে চলেই সমুদ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বানৌজা শের-ই-বাংলা নৌঘাঁটি এবং ৮টি জাহাজের কমিশনিং অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ক্রেতা থেকে এখন নির্মাতায় রূপান্তরিত হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নাবিক প্রশিক্ষণ ও এভিয়েশন সুবিধা সম্বলিত ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা এবং খুলনা শীপইয়ার্ড লিমিটেডে নির্মিত ৪টি পেট্রোল ক্রাফট ও ৪টি এলসিইউ’র কমিশনিং উপলক্ষে বর্ণাঢ্য এই আয়োজন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুরুতেই ঘাঁটির অধিনায়কের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। একই সাথে নৌবাহিনীর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে খুলনা শিপইয়ার্ডে পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রোনের ৪টি যুদ্ধজাহাজ এবং ৪টি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি কমিশনিং করা হয়।
কমিশনিং শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষেই ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পায়রা সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি এই ঘাঁটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি।
নৌবাহিনীর উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুল ধরে, প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এ বাহিনীর জন্য কোনো কাজই করেনি ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সমুদ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন সরকার প্রধান।
বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন এবং নিজস্ব শিপইয়ার্ডে যুদ্ধজাহাজ তৈরি নৌবাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নে আরও একটি নতুন মাইলফলক বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।