সীতাকুণ্ড ট্রাজেডির ১৫ দিন পরও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ হয়নি
- আপডেট সময় : ০১:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২
- / ১৬১৪ বার পড়া হয়েছে
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপো ট্রাজেডির ১৫ দিন পরও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বিজিএমইএ। এদিকে, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আধুনিকায়নসহ নিরাপত্তা জোরদার ও বিপদজনক কার্গো নিয়ন্ত্রণে দক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে অফডকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর হাইড্রোজেন পার অক্সাইডবাহী কন্টেইনারে বিস্ফোরনের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ডিপোতে।
টানা চার দিনের ভয়াবহ এই আগুনে ভষ্মীভুত হয় কয়েক হাজার কন্টেইনার। তবে এর প্রকৃত সংখ্যা এখনো নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।
বিজিএমইএ’র দাবি, কোন কোন কন্টেইনার জাহাজিকরণ হয়ে গেছে আর কোনটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার প্রকৃত চিত্র এখনো জানায়নি কাস্টমস। ফলে ক্ষতিপুরণ পাওয়া নিয়ে তৈরী হয়েছে অনিশ্চয়তা।
কন্টেইনার ডিপোর এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বন্দর কর্তৃপক্ষ। এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে দক্ষ জনবল নিয়োগে অফডকগুলোকে চিঠি দিয়েছে তারা।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাসায়নিকসহ ডেঞ্জারাস কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য আলাদা সাবজেক্টই আছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। কিন্তু বাংলাদেশে তেমনটা নেই। তাই রাতারাতি দক্ষ জনবল তৈরী সম্ভব নয়।
পণ্য প্যাকেজিংয়ের পর তা ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স ও শিপিং এজেন্টের কাছে হস্তান্তর করে রপ্তানীকারকরা।বায়ারের মনোনিত প্রতিষ্ঠানগুলো এসব পণ্য অফডকে সংরক্ষণের পর সুবিধাজনক সময়ে জাহজিকরণ করে।
তাই এসব পণ্যের দায় কে নেবে, জাহাজীকরণের আগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পণ্যের ক্ষেত্রে ইন্সুরেন্স সুবিধা পাওয়া যাবে কি না তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।