১১:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সীতাকুণ্ড শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে এ বছর ২১ শ্রমিক নিহত

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৯
  • / ১৬০৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শীপ ব্রেকিং জোনে, চলতি বছর ছোট বড় অন্তত ৩০টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন শ্রমিক। গেল ১০ বছরের পরিসংখ্যনে যা সর্বোচ্চ। ইয়ার্ড মালিকরা দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেও, কারখানা পরিদর্শন অধিদফতর বলছে, কতিপয় অসাধু ইয়ার্ড মালিক আইনের তোয়াক্কা না করে জাহাজ কাটায় প্রাণহানি বাড়ছে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একের পর এক দুর্ঘটনা, সম্ভাবনাময় শিল্পটিতে অশনী সংকেত বয়ে আনছে ।

সাগরে বিস্ফোরণের পর অচল হয়ে যাওয়া ২০১৬ সালে নির্মিত এই জাহাজটি ভাঙার জন্য নিয়ে এসেছে ও.ডব্লিউ.ডব্লিউ ট্রেডিং নামের একটি শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। বিচিংয়ের আগে দেয়া সার্টিফিকেটে জাহাজটির বেশ কয়েকটি এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ওই সব এলাকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিস্ফোরক অধিদফতর। কিন্তু মালিকপক্ষ সবনিয়ম উপেক্ষা করে কাটিং পারমিশন না নিয়েই গত রোববার রাতে জাহাজটি কাটার চেষ্টা করে। আর শুরুতেই গ্যাস পাইপের লিকেজে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে দুই শ্রমিক। তারপরও দায় এড়ানোর চেষ্টা চালায় ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ।

ক’দিন আগে সাগরিকা শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে ঘটে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণ। এতেও হতাহত হন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। ঘটনার পর শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তিন মাস বন্ধ রাখা হয় ইয়ার্ডটি। হালে অপারেশনে এসেই সোমবার রাতে আবার গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরনে গুরুতর আহত হন দুই শ্রমিক।

চলতি বছরে এমন দুর্ঘটনা একের পর এক ঘটছে সীতাকুণ্ডের শীপ ব্রেকিং জোনে। মালিক পক্ষের আইন অমান্যের প্রবণতার কারণেই এমন দুর্ঘটনা থামানো যাচ্ছে না বলে মনে করছে কারখানা পরিদর্শন অধিদফতর।

জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প নিয়ে কাজ করা স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ইপশা বলছে, মালিক পক্ষের অবহেলার কারণেই দুর্ঘটনা বাড়ছে; যা এই শিল্পের জন্য অশনি সংকেত।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড মালিকদের সংগঠন বিএসবিআর। চলমান দুর্ঘটনা রোধে একাধিক বৈঠক করেছে সংগঠনটি। সবশেষ সব ইয়ার্ডে টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট নিয়োগ বাধ্যতামুলক করার পাশাপাশি বিস্ফোরক অধিদফতরের তত্বাবধান ছাড়া ইঞ্জিন রুম না কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফুটেজ-৪

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সীতাকুণ্ড শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে এ বছর ২১ শ্রমিক নিহত

আপডেট সময় : ০২:০০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শীপ ব্রেকিং জোনে, চলতি বছর ছোট বড় অন্তত ৩০টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন শ্রমিক। গেল ১০ বছরের পরিসংখ্যনে যা সর্বোচ্চ। ইয়ার্ড মালিকরা দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেও, কারখানা পরিদর্শন অধিদফতর বলছে, কতিপয় অসাধু ইয়ার্ড মালিক আইনের তোয়াক্কা না করে জাহাজ কাটায় প্রাণহানি বাড়ছে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একের পর এক দুর্ঘটনা, সম্ভাবনাময় শিল্পটিতে অশনী সংকেত বয়ে আনছে ।

সাগরে বিস্ফোরণের পর অচল হয়ে যাওয়া ২০১৬ সালে নির্মিত এই জাহাজটি ভাঙার জন্য নিয়ে এসেছে ও.ডব্লিউ.ডব্লিউ ট্রেডিং নামের একটি শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। বিচিংয়ের আগে দেয়া সার্টিফিকেটে জাহাজটির বেশ কয়েকটি এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ওই সব এলাকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিস্ফোরক অধিদফতর। কিন্তু মালিকপক্ষ সবনিয়ম উপেক্ষা করে কাটিং পারমিশন না নিয়েই গত রোববার রাতে জাহাজটি কাটার চেষ্টা করে। আর শুরুতেই গ্যাস পাইপের লিকেজে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে দুই শ্রমিক। তারপরও দায় এড়ানোর চেষ্টা চালায় ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ।

ক’দিন আগে সাগরিকা শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে ঘটে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণ। এতেও হতাহত হন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। ঘটনার পর শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তিন মাস বন্ধ রাখা হয় ইয়ার্ডটি। হালে অপারেশনে এসেই সোমবার রাতে আবার গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরনে গুরুতর আহত হন দুই শ্রমিক।

চলতি বছরে এমন দুর্ঘটনা একের পর এক ঘটছে সীতাকুণ্ডের শীপ ব্রেকিং জোনে। মালিক পক্ষের আইন অমান্যের প্রবণতার কারণেই এমন দুর্ঘটনা থামানো যাচ্ছে না বলে মনে করছে কারখানা পরিদর্শন অধিদফতর।

জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প নিয়ে কাজ করা স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ইপশা বলছে, মালিক পক্ষের অবহেলার কারণেই দুর্ঘটনা বাড়ছে; যা এই শিল্পের জন্য অশনি সংকেত।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড মালিকদের সংগঠন বিএসবিআর। চলমান দুর্ঘটনা রোধে একাধিক বৈঠক করেছে সংগঠনটি। সবশেষ সব ইয়ার্ডে টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট নিয়োগ বাধ্যতামুলক করার পাশাপাশি বিস্ফোরক অধিদফতরের তত্বাবধান ছাড়া ইঞ্জিন রুম না কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফুটেজ-৪