সীমিত আকারে হচ্ছে দুর্গোৎসব
- আপডেট সময় : ০২:১০:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫৬১ বার পড়া হয়েছে
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা এ বছর অনাড়ম্বরভাবে অনুষ্ঠিত হবে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে শুধু ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে মন্দির প্রাঙ্গণেই সীমাবদ্ধ থাকবে আয়োজন।
আগামী ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গা পূজা। খুলনায় প্রতীমা শিল্পীরা দিন-রাত কাজ করছেন। তাদের শৈল্পিক ছোঁয়ায় খড়, মাটি, পাট আর কাঁদায় তৈরি প্রতিমা হয়ে উঠছে দেবী দুর্গা। প্রায় সব মন্দিরে এখন চলছে রং-তুলির আঁচড়।বাকি আছে পরিপাটি করে সাজানোর কাজটুকু।তবে, করোনার কারণে অনেকেই কাটছাট করেছে পূজার বাজেটে। এতে বিপাকে পড়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
দুর্গাপূজা এবার শুধু মন্দির প্রাঙ্গণেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আলোকসজ্জা, মেলা, আরতি প্রতিযোগিতা ও কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না বলে জানান, আয়োজকরা।
এ বছর খুলনা জেলায় ৮৪২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় মানুষের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। সরকারের অনুদানের ওপর নির্ভর করছে তারা।
এদিকে, ঝালকাঠিতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রতিমা শিল্পীরা। শিল্পীর নিপুন হাতের ছোঁয়ায় মৃম্ময়ী প্রতিমা ধীরে ধীরে দেবী রূপ ধারন করছে। শিল্পীরা জানান, প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বাড়লেও, কমেছে তাদের মজুরি। সীমাবদ্ধতার কথা জানান, আয়োজকরা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা থেকে মুক্তির প্রার্থনায় পূজা আয়োজনের পস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান, এই নেতা।
সরকারি নির্দেশনাসমূহ মেনে চলার ব্যাপারে সতর্ক থাকবে পুলিশ। শান্তিশৃংখলা রক্ষায় মন্ডপগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে জানায়, তারা।এবছর জেলায় ১৭২টি পূজা মন্ডপ স্থাপিত হচ্ছে।