সুতা-রংসহ উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে ঈদ মৌসুমেও জমেনি সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্প বাজার
- আপডেট সময় : ০৪:২৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
- / ১৭৩৮ বার পড়া হয়েছে
করোনার প্রভাব কাটলেও সুতা, রংসহ অন্যান্য উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ঈদ মৌসুমেও জমে উঠেনি সিরাজগঞ্জের ব্র্যান্ডিং খ্যাত ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের বাজার। বিভিন্ন দামের ও বাহারী নকশায় তৈরী সূতি, কটন ও সিল্কের শাড়ী-লুঙ্গি বিক্রি নিয়ে সংশয়ে তাঁতী ও উৎপাদনকারীরা। উৎপাদন খরচ অনুপাতে কাপড়ের দাম না বাড়ায় এবার ঈদ মৌসুমে উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন তাঁত মালিকরা।
দেশের গোন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও প্রসংশীত হওয়ায় এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করায় সিরাজগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহি তাঁত শিল্পকে জেলার ব্র্যান্ডিং ঘোষনা করেছে সরকার।
জেলার ৯ উপজেলায় ৩ লাখ পিটলুম, হ্যান্ডলুম ও পাওয়ারলুম রয়েছে। এসব লুমে ঈদ মৌসুমসহ বছরে ২১ কোটি মিটার বিভিন্ন দামের বাহাড়ী নকশায় তৈরী সূতি,কটন ও সিল্কের শাড়ী ছাড়াও লুঙ্গি ও থান কাপড় উৎপাদিত হয়। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানী হয়ে থাকে। দেশের ৪০ ভাগ কাপড়ের চাহিদার অধিকাংশই সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত হয়।
চলতি ঈদ মৌসুমে আশানরুপ বিক্রি না হওযায় তাঁত পণ্য উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন তাঁত মালিকরা।আর কাজ কমে যাওয়ায় অভাবের পাশাপাশি হতাশায় দিন পার করছেন শ্রমিকরা।
এমন পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেটের হাত থেকে সুতা,রং সহ কাচাঁমালের দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যেগ না নিলে ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের অস্তিত্ব সংকটের আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাঁত শিল্পের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন। একই সঙ্গে তাঁতি ও তাঁত মালিদের সহায়তা দেয়ার কথা জানান বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প ও এর সাথে জড়িতদের রক্ষায় সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা নেবে- এমনটাই দাবী সবার।