সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ড. ইউনূসকে তলব করা হয়েছে : মাহবুব হোসেন
- আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৮৫৩ বার পড়া হয়েছে
অর্থপাচার ও আত্মসাতের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেড় ঘন্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত দল। জিজ্ঞাসাবাদের পর ড. ইউনূস বলেছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। দুদক ডেকেছে বলেই তিনি এসেছেন। দুদকের মামলাকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক বলে দাবি করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। তবে দুদকের সচিব মাহবুব হোসেন বলছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ড. ইউনূসকে তলব করা হয়েছে।
দুদকের তলবের পরিপ্রেক্ষিতে সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে গ্রামীন টেলিকমের চেয়ারম্যান, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হন। সঙ্গে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন দুদকের উপপরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধান।
জিজ্ঞাসাবাদের পর দুদক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ড. ইউনূস বলেন, তিনি কোনো অপরাধ করনেনি। দুদক ডেকেছে বলেই তিনিএসেছেন। দুদকের মামলাকে ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, এখানে জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি। ড. ইউনূসকে দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই এ মামলা।
তবে দুদক সচিব দাবি করেছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ই ড.ইউনূসকে তলব করা হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ মামলার ১৩ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। ৩০ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।মামলায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।