সুন্দরবনে বেড়েছে হরিণ শিকারিদের তৎপরতা
- আপডেট সময় : ০১:২৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩
- / ২০০৬ বার পড়া হয়েছে
সুন্দরবনে বেড়েছে হরিণ শিকারিদের তৎপরতা। মানা হচ্ছেনা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন। পাথরঘাটার হরিণঘাটা ও সুন্দরবনে বছরে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি হরিণ শিকারীদের হাতে মারা পড়ছে। অবাধে হরিণ শিকার হুমকিতে ফেলছে জীববৈচিত্র। সচেতন মহল বলছে প্রশাসনের দুর্বলতাই হরিন শিকারের মূল কারণ। বরগুনা
বরগুনার পাথরঘাটার হরিণঘাটাবন ও সুন্দরবনের অন্যতম সৌন্দর্য্য মায়াবী চিত্রা হরিন। সম্প্রতি সুন্দরবনে হরিণ শিকারীদের তৎপরতা কয়েক গুন বেড়েছে। বরগুনা জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন পাথরঘাটা উপজেলার প্রায় ২০টি অবৈধ হরিণ শিকারি চক্র সক্রিয় রয়েছে। শিকারের পর হরিণের মাংস, চামড়া, মাথা, শিং ও হাড় বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এসব চক্র। আর এই শিকারিদের অন্তত ২০টি সক্রিয় চক্র পাথরঘাটা উপজেলার হনিরঘাটা, চরদুয়ানী, টেংরা, রুহিতা, জ্ঞানপাড়া, বাদুরতলা ও কাঠালতলী এলাকার।
তারা হরিনঘাটাবন ও সুন্দরবনের ভিতর ফাদ পেতে হরিণ শিকার করছেন। বনের আশপাশ এলাকার শিকারিরা বেপরোয়া হয়ে নিয়মিত হরিণ শিকার করে মাংস ও তার চামড়া বিক্রি করছে। এভাবেই গভীর বনে লাইনের রসি দিয়ে ফাঁদ পাতা হচ্ছে আর সেখানেই আটকা পরছে হরিণ। শিকার হওয়া হরিণের মাংস ও চামড়া বিক্রি করছে শিকারিরা।
নিরাপদ জোন হিসেবে বরগুনাকে ব্যবহার করছেন পাচারকারীরা। আর স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় শিকারিরা নিয়মিত হরিণ শিকার করে আসছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
কিছুদিন পর পর এই এলাকা থেকে জব্দ হচ্ছে হরিনের মাংস, চামড়া ও জীবিত হরিন। তবে শিকারীদের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের নেতা এমনকি ক্ষোদ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ সচেতন মহলের।
অবশ্য পাচারকারীদের সাথে শিকারীদের কোন একাত্বতা না থাকায় শিকারীদের ধরা যাচ্ছে না । তবে হরিণ শিকারী ও পাচারকারীদের নির্মূল করতে কাজ করছে পুলিশ।